সিআইবিএমএস: ভারতের সমন্বিত সীমান্ত ব্যবস্থাপনা ব্যবস্থা
ভারত সরকার পাকিস্তান ও বাংলাদেশের সাথে তার সীমান্তের নিরাপত্তা জোরদার করার লক্ষ্যে একটি কম্প্রিহেনসিভ ইন্টিগ্রেটেড বর্ডার ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম (সিআইবিএমএস) বাস্তবায়ন করছে। এটি একটি বহুস্তরীয় নিরাপত্তা ব্যবস্থা যা আধুনিক প্রযুক্তি ও অবকাঠামোগত উন্নয়নের সমন্বয়ে গঠিত। সিআইবিএমএস-এর উদ্দেশ্য হলো অবৈধ অনুপ্রবেশ, সীমান্ত অপরাধ এবং অন্যান্য নিরাপত্তা হুমকি রোধ করা।
সিআইবিএমএস এর কিছু গুরুত্বপূর্ণ দিক:
- প্রযুক্তিগত উপাদান: সিআইবিএমএস বিভিন্ন প্রযুক্তির সমন্বয়ে গঠিত, যেমন: সেন্সর, ডিটেক্টর, ক্যামেরা, স্থলভিত্তিক রাডার সিস্টেম, মাইক্রো-এরোস্ট্যাট, লেজার প্রযুক্তি। এগুলো সীমান্তের 24 ঘন্টা নজরদারি নিশ্চিত করে। আধুনিক ড্রোন প্রযুক্তি ব্যবহার করে অবৈধ অনুপ্রবেশের চেষ্টা শনাক্তকরণ এবং প্রতিরোধের ব্যবস্থাও অন্তর্ভুক্ত।
- অবকাঠামোগত উন্নয়ন: বাংলাদেশ সীমান্তে ৫৯১ কিলোমিটার বেষ্টনীর কাজ শেষ হয়েছে। এছাড়াও, এক হাজার ১৫৯ কিলোমিটার সীমান্তে ফ্লাডলাইট স্থাপন, ৫৭৩টি সীমান্ত ফাঁড়িসহ ৫৭৯টি পর্যবেক্ষণ পোস্ট নির্মাণ, ৬৮৫টি স্থানে বিদ্যুৎ সংযোগ, ৫৭৫টি স্থানে পানি সংযোগ এবং ৫৭০টি সোলার প্ল্যান্ট স্থাপন করা হয়েছে। প্রায় এক হাজার ৮১২ কিলোমিটার দুর্গম এলাকায় সীমান্ত সড়ক নির্মাণের কাজও চলছে।
- পাইলট প্রকল্প: আসামের ধুবরিতে সিআইবিএমএসের একটি পাইলট প্রকল্প বাস্তবায়িত হয়েছে এবং এর প্রাথমিক ফলাফল উৎসাহজনক বলে ভারত সরকার জানিয়েছে।
- পরবর্তী পরিকল্পনা: ভারত সরকারের পরিকল্পনা অনুযায়ী, পাইলট প্রকল্পের আরও উন্নতীকরণের পর সিআইবিএমএস পাকিস্তান ও বাংলাদেশের সাথে সমগ্র সীমান্তজুড়ে প্রয়োগ করা হবে।
উল্লেখ্য: এই লেখাটি শুধুমাত্র উপলব্ধ তথ্যের উপর ভিত্তি করে লেখা হয়েছে। আরো তথ্য পাওয়া গেলে লেখাটি আপডেট করা হবে।