সাব্বির আলম খন্দকার

আপডেট: ৮ জানুয়ারী ২০২৫, ৩:৫১ পিএম

নারায়ণগঞ্জের ব্যবসায়ী নেতা সাব্বির আলম খন্দকার হত্যা মামলায় সকল আসামী খালাস

২০০৩ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারী নারায়ণগঞ্জের মাসদাইর এলাকায় নিজ বাড়ির সামনে প্রকাশ্যে গুলি করে হত্যা করা হয় বিকেএমইএ'র সাবেক সহ-সভাপতি সাব্বির আলম খন্দকারকে। তিনি তৈরি পোশাক শিল্পে একজন প্রভাবশালী ব্যবসায়ী নেতা ছিলেন এবং সন্ত্রাস ও চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে প্রতিবাদী কণ্ঠ হিসেবে পরিচিত ছিলেন। ঘটনার ২২ বছর পর, ০৭ জানুয়ারি ২০২৫, নারায়ণগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ প্রথম আদালতের বিচারক মমিনুল ইসলামের রায়ে এই হত্যা মামলার সকল আসামীকে খালাস দেওয়া হয়।

মামলার প্রধান আসামী ছিলেন নারায়ণগঞ্জ জেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি জাকির খান। তার সাথে আরও ছিলেন তার দুই ভাই জিকু খান ও মামুন খান, এবং তার সহযোগী জঙ্গল ওরফে লিটন, মোক্তার হোসেন, মনিরুজ্জামান শাহীন (মৃত), নাজির আহমেদ ও আব্দুল আজিজ। রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি আবুল কালাম আজাদ জানান, ৫২ জন সাক্ষীর মধ্যে মাত্র ২১ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করা সম্ভব হয়েছে এবং রাষ্ট্রপক্ষ অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণ করতে ব্যর্থ হওয়ায় আদালত এ রায় দিয়েছে।

নিহত সাব্বির আলম খন্দকারের ভাই তৈমুর আলম খন্দকার সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী এবং তার মেয়ে ফাতেমা তুজ জহুরা (শবনম)ও আইনজীবী। রায়ের পর শবনম অসন্তোষ প্রকাশ করে উচ্চ আদালতে আপিলের ঘোষণা দেন। জাকির খানের আইনজীবী রাজীব মণ্ডল জানান, জাকির খানের বিরুদ্ধে বিভিন্ন সময়ে ৩৩টি মামলা ছিল এবং এর মধ্যে ৩০টিতে তিনি ইতিমধ্যেই খালাস পেয়েছেন।

এই মামলাকে ঘিরে আদালত প্রাঙ্গণে উত্তেজনাপূর্ণ পরিবেশ বিরাজ করলেও পরবর্তীতে জাকির খানের সমর্থকদের উল্লাস দেখা যায়। তবে, সাব্বির আলম খন্দকারের পরিবারের দুঃখ ও ন্যায় বিচারের আশা এখনও অক্ষুণ্ণ রয়েছে।

মূল তথ্যাবলী:

  • নারায়ণগঞ্জের ব্যবসায়ী নেতা সাব্বির আলম খন্দকার হত্যা মামলায় সকল আসামী খালাস পেয়েছে।
  • ২০০৩ সালে হত্যাকাণ্ডের ২২ বছর পর রায় ঘোষণা করা হয়।
  • রাষ্ট্রপক্ষ অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণ করতে ব্যর্থ হয়।
  • নিহতের ভাই ও মেয়ে উচ্চ আদালতে আপিলের ঘোষণা দিয়েছে।
  • মামলার প্রধান আসামী ছিলেন বিএনপি নেতা জাকির খান।

একই নামে একাধিক ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান ও স্থান থাকতে পারে। সুনির্দিষ্টভাবে জানতে সংবাদ লিংকে প্রবেশ করুন।

গণমাধ্যমে - সাব্বির আলম খন্দকার

সাব্বির আলম খন্দকার নারায়ণগঞ্জে নিজ বাসভবনের সামনে গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান।