সাদিক অ্যাগ্রো: একটি বিতর্কিত নাম
সম্প্রতি বাংলাদেশের গণমাধ্যমে বেশ আলোচিত হয়েছে ‘সাদিক অ্যাগ্রো’ নামটি। এটি একটি পশু খামার, যা রাজধানীর মোহাম্মদপুরে অবস্থিত। তবে সাদিক অ্যাগ্রো কেবলমাত্র একটি পশু খামার নয়, বরং বিভিন্ন বিতর্ক ও অভিযোগের কেন্দ্রবিন্দু হিসেবেও আলোচিত।
বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দু:
সাদিক অ্যাগ্রো বেশ কয়েকটি ঘটনার কেন্দ্রবিন্দুতে আসে, যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য:
- নিষিদ্ধ ব্রাহ্মা জাতের গরু আমদানি: ২০২১ সালে কোভিড বিধিনিষেধের সময়, শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ১৮টি নিষিদ্ধ ব্রাহ্মা জাতের গরু ধরা পড়ে। সাদিক অ্যাগ্রো শাহিওয়াল গরুর নাম দিয়ে যুক্তরাষ্ট্র থেকে এই গরুগুলো আমদানি করেছিল। পরবর্তীতে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) জাল কাগজপত্র ব্যবহারের অভিযোগে সাদিক অ্যাগ্রোর বিরুদ্ধে অভিযান চালায়।
- অত্যধিক দামে পশু বিক্রয়: কুরবানির ঈদ উপলক্ষে, সাদিক অ্যাগ্রো এক কোটি টাকা দামের একটি গরু এবং ১৫ লাখ টাকা দামের একটি ছাগলের কথা প্রচার করে। এই ঘটনায় ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা হয়।
- খাল ও সড়ক দখল: ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন (ডিএনসিসি) অভিযোগ করে যে, সাদিক অ্যাগ্রো রামচন্দ্রপুর খাল ও সড়কের জায়গা দখল করে খামার স্থাপন করেছে। এই অভিযোগের ভিত্তিতে ডিএনসিসি উচ্ছেদ অভিযান চালিয়ে খামারের অবৈধ অংশ ভেঙে ফেলে।
গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি:
সাদিক অ্যাগ্রোর মালিক ইমরান হোসেন, যিনি বাংলাদেশ ডেইরি ফার্মারস অ্যাসোসিয়েশনের (বিডিএফএ) সভাপতিও।
স্থান:
মোহাম্মদপুর, ঢাকা; শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর; রামচন্দ্রপুর খাল।
অতিরিক্ত তথ্য:
সাদিক অ্যাগ্রোর বিরুদ্ধে আরও কিছু অভিযোগ আছে। এই তথ্য সম্পূর্ণ নয়। আমরা আরও তথ্য প্রাপ্ত হলে আপনাদের অবহিত করবো।