সাজিদ খান

আপডেট: ৩ জানুয়ারী ২০২৫, ৮:১৫ এএম
নামান্তরে:
সাজিদ খান (পরিচালক)
সাজিদ খান (চলচ্চিত্র পরিচালক)
Sajid Khan (director)
সাজিদ খান

সাজিদ খান: একজন বহুমুখী প্রতিভার অধিকারী

সাজিদ কামরান খান, হিন্দি চলচ্চিত্র জগতের একজন পরিচিত ব্যক্তিত্ব। তিনি একজন চলচ্চিত্র পরিচালক, টেলিভিশন উপস্থাপক, কৌতুকাভিনেতা এবং অভিনেতা। ২৩ নভেম্বর ১৯৭০ সালে ভারতের মহারাষ্ট্রের মুম্বইয়ে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি প্রয়াত ভারতীয় অভিনেতা কামরান খান এবং মেনকা খানের পুত্র। নৃত্য পরিচালক ফারাহ খান তার বোন। তার মায়ের বোন হলেন প্রাক্তন অভিনেত্রী হানি ইরানি এবং ডেইজি ইরানি, আর খালাতো ভাই-বোন হলেন চলচ্চিত্র নির্মাতা ফারহান আখতার এবং জোয়া আখতার।

শিক্ষা ও প্রাথমিক জীবন:

সাজিদ মুম্বইয়ের মানেকজি কুপার স্কুল থেকে প্রাথমিক শিক্ষা এবং মিঠিবাই কলেজ থেকে স্নাতক ডিগ্রি লাভ করেন। তার কর্মজীবনের শুরু হয় টেলিভিশন উপস্থাপনা দিয়ে। তিনি 'মেইন বি ডিটেকটিভ' (১৯৯৫) এবং 'ইক্কে পে ইক্কা' (১৯৯৬) এর মতো জনপ্রিয় অনুষ্ঠান উপস্থাপন করেছেন। এছাড়াও তিনি 'সাজিদ নং ১' নামে একটি স্ট্যান্ড-আপ কমেডি শো করেছেন।

চলচ্চিত্র পরিচালনা:

পরিচালক হিসেবে সাজিদের পরিচিতি 'হেই বেবি' (২০০৭), 'হাউসফুল' (২০১০), 'হাউসফুল ২' (২০১২) এবং 'হামশাকালস' (২০১৪) ছবির মাধ্যমে। তিনি 'নাচ বলিয়ে' নামক আপাতবাস্তব টেলিভিশন অনুষ্ঠানের বিচারক হিসেবেও কাজ করেছেন। ২০১১ সালে 'হাউসফুল ২' চলচ্চিত্র নির্মাণের সময় অভিনেত্রী জ্যাকলিন ফার্নান্দেজের সাথে তার প্রেমের সম্পর্ক ছিল, যা ২০১৩ সালে শেষ হয়।

#MeToo আন্দোলন ও এর প্রভাব:

২০১৮ সালে ভারতে #MeToo আন্দোলনের সময় সাজিদ খানের বিরুদ্ধে বেশ কয়েকজন মহিলা যৌন হয়রানির অভিযোগ করেছেন। এই অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে ইন্ডিয়ান ফিল্ম অ্যান্ড টেলিভিশন ডিরেক্টরস অ্যাসোসিয়েশন তাকে চলচ্চিত্র পরিচালনা থেকে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিল, যা পরবর্তীতে প্রত্যাহার করা হয়।

বর্তমান অবস্থা:

#MeToo আন্দোলনের পর সাজিদ খানের কাজের পরিবেশ অনেকটাই পরিবর্তন হয়েছে। বিস্তারিত তথ্য পাওয়া যাওয়ার পর আরও বিস্তৃত আলোচনা করা যাবে।

মূল তথ্যাবলী:

  • সাজিদ খান একজন ভারতীয় চলচ্চিত্র পরিচালক, টেলিভিশন উপস্থাপক এবং অভিনেতা।
  • তিনি ২৩ নভেম্বর ১৯৭০ সালে মুম্বাইয়ে জন্মগ্রহণ করেন।
  • তিনি 'হাউসফুল' সিরিজ, 'হেই বেবি' এবং 'হামশাকালস' এর মতো চলচ্চিত্র নির্মাণের জন্য পরিচিত।
  • তিনি #MeToo আন্দোলনের সময় যৌন হয়রানির অভিযোগের সম্মুখীন হন।
  • ইন্ডিয়ান ফিল্ম অ্যান্ড টেলিভিশন ডিরেক্টরস অ্যাসোসিয়েশন তাকে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিল, যা পরে প্রত্যাহার করা হয়।

একই নামে একাধিক ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান ও স্থান থাকতে পারে। সুনির্দিষ্টভাবে জানতে সংবাদ লিংকে প্রবেশ করুন।