সঞ্চয়পত্র: ঝুঁকিমুক্ত বিনিয়োগের সুযোগ
বাংলাদেশে সঞ্চয়পত্র একটি জনপ্রিয় ঝুঁকিমুক্ত বিনিয়োগের মাধ্যম। জাতীয় সঞ্চয় অধিদপ্তরের অধীনে পরিচালিত, সঞ্চয়পত্রের মাধ্যমে সরকার জনগণের কাছ থেকে অর্থ সংগ্রহ করে জাতীয় উন্নয়নমূলক কর্মসূচীতে ব্যবহার করে। বিনিময়ে, বিনিয়োগকারীরা নির্দিষ্ট সময়ের পর নির্দিষ্ট হারে মুনাফা পান এবং মেয়াদ শেষে মূলধন ফেরত পান।
সঞ্চয়পত্রের ধরণ:
বর্তমানে বাংলাদেশে নিম্নলিখিত চার ধরনের সঞ্চয়পত্র চালু আছে:
1. পাঁচ বছর মেয়াদী বাংলাদেশ সঞ্চয়পত্র: এটি সকল শ্রেণীর বাংলাদেশী নাগরিকদের জন্য উন্মুক্ত।
2. পরিবার সঞ্চয়পত্র: মূলত মহিলা, প্রতিবন্ধী, এবং ৬৫ বছরের অধিক বয়সী ব্যক্তিদের জন্য।
3. তিন মাস অন্তর মুনাফাভিত্তিক সঞ্চয়পত্র: এটি সকল প্রাপ্তবয়ষ্ক বাংলাদেশী নাগরিকদের জন্য।
4. পেনশনার সঞ্চয়পত্র: অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী, সশস্ত্র বাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত সদস্য ও তাদের পরিবারের সদস্যদের জন্য।
মুনাফার হার:
সঞ্চয়পত্রের মুনাফার হার সরকার সময় সময় পরিবর্তন করে থাকে। তাই, বর্তমান মুনাফার হার জানার জন্য জাতীয় সঞ্চয় অধিদপ্তরের ওয়েবসাইট বা সংশ্লিষ্ট ব্যাংকের সাথে যোগাযোগ করুন।
ক্রয় ও নগদায়ন:
সঞ্চয়পত্র বাংলাদেশ ব্যাংক, অন্যান্য বাণিজ্যিক ব্যাংক এবং ডাকঘর থেকে ক্রয় করা যায়। মেয়াদ শেষে স্বয়ংক্রিয়ভাবে ব্যাংক একাউন্টে টাকা জমা হয়। মেয়াদ পূর্বে নগদায়ন করলে নির্দিষ্ট শর্তাবলী প্রযোজ্য হবে।
আয়কর:
সঞ্চয়পত্রের মুনাফার উপর উৎসে আয়কর প্রযোজ্য। তবে কিছু ক্ষেত্রে আয়কর অব্যাহতি থাকতে পারে। বিস্তারিত জানার জন্য জাতীয় সঞ্চয় অধিদপ্তরের সাথে যোগাযোগ করা উচিত।
অন্যান্য বিষয়:
- সঞ্চয়পত্রে নমিনী নিয়োগ করা যায়।
- সঞ্চয়পত্র হারিয়ে গেলে বা নষ্ট হলে ডুপ্লিকেট সঞ্চয়পত্র পাওয়া যায়।
- বিস্তারিত তথ্যের জন্য জাতীয় সঞ্চয় অধিদপ্তরের ওয়েবসাইট এবং প্রকাশিত নীতিমালা পর্যালোচনা করুন।
উল্লেখ: উপরোক্ত তথ্যগুলি সাধারণ ধারণার উপর ভিত্তি করে লেখা হয়েছে। সঞ্চয়পত্র সংক্রান্ত সর্বশেষ তথ্যের জন্য জাতীয় সঞ্চয় অধিদপ্তরের সাথে যোগাযোগ করা অত্যন্ত জরুরী।