শ্রীপুর

শ্রীপুর: মধ্য বাংলাদেশের একটি ঐতিহাসিক শহর

গাজীপুর জেলার শ্রীপুর উপজেলার প্রশাসনিক সদর শ্রীপুর শহর। ৪৬.৯০ বর্গকিলোমিটার আয়তনের এই শহরে ২০১১ সালের আদমশুমারী অনুযায়ী ১২৬,২৪৯ জন বাস করেন, যা একে দেশের ৩৬তম জনবহুল শহরে পরিণত করেছে। এটি একটি পৌরসভা দ্বারা শাসিত শহর এবং সড়ক ও রেলপথ দ্বারা যুক্ত।

ঐতিহাসিক গুরুত্ব:

শ্রীপুরের ইতিহাস অষ্টম শতাব্দীতে রাজা ইন্দ্রপালের ইন্দ্রপুর রাজ্যের সাথে জড়িত। ইন্দ্রপুরের দিঘী ও আদিত্যপালের দিঘী (বর্তমানে ওয়াদ্দার দিঘী) ঐতিহাসিক স্থাপনা হিসেবে পরিচিত। পরবর্তীতে রাজা শ্রীপালের নামানুসারে শ্রীপুর নামকরণ করা হয়, যার অর্থ 'সৌন্দর্যের নগরী'। নভেম্বর, ২০০০ সালে ৯টি ওয়ার্ড নিয়ে শ্রীপুর পৌরসভা গঠিত হয়। ২০০৭ সালে এটি 'খ' শ্রেণীর পৌরসভায় উন্নীত হয়।

ভৌগোলিক অবস্থান ও জনসংখ্যাগত তথ্য:

শ্রীপুর ঢাকা ও গাজীপুরের উত্তরে এবং ময়মনসিংহের দক্ষিণে অবস্থিত (২৪º০১΄ উত্তর অক্ষাংশ থেকে ২৪º২১΄ উত্তর অক্ষাংশ এবং ৯০º১৮΄ পূর্ব দ্রাঘিমাংশ থেকে ৯০º৩৩΄ দ্রাঘিমাংশ)। জনসংখ্যার ঘনত্ব প্রতি বর্গকিলোমিটারে ২৬৯২ জন। লিঙ্গানুপাত ১০০ঃ১১৪ এবং শিক্ষার হার ৬৩.৩% (৭ বছরের ঊর্ধ্বে)।

অর্থনীতি ও অন্যান্য তথ্য:

শ্রীপুরের অর্থনীতি মূলত কৃষিকাজের উপর নির্ভরশীল। তবে বাণিজ্য ও অন্যান্য ক্ষুদ্র শিল্পও এখানে বিদ্যমান। শহরটি ঢাকা ও গাজীপুরের সাথে যোগাযোগের সুবিধার জন্য গুরুত্বপূর্ণ।

মূল তথ্যাবলী:

  • শ্রীপুর গাজীপুর জেলার একটি ঐতিহাসিক শহর।
  • এটি ৪৬.৯০ বর্গকিলোমিটার আয়তনের এবং জনসংখ্যা প্রায় ১২৬,২৪৯।
  • রাজা শ্রীপালের নামানুসারে শ্রীপুরের নামকরণ।
  • ইন্দ্রপুরের দিঘী ও ওয়াদ্দার দিঘী ঐতিহাসিক স্থাপনা।
  • ২০০০ সালে পৌরসভা গঠিত হয়।

গণমাধ্যমে - শ্রীপুর

২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ৬:০০ এএম

এখানে একটি বোতাম কারখানায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে।

২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ৬:০০ এএম

এখানে একটি কারখানায় আগুন লেগেছে।

২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ৬:০০ এএম

এখানে একটি কারখানায় আগুন লেগেছে।