শ্রীনগর: কাশ্মীরের মুগ্ধকর রাজধানী ও মুন্সিগঞ্জের একটি উপজেলা
দুটি ভিন্ন শ্রীনগর: একদিকে কাশ্মীর উপত্যকার মনোমুগ্ধকর সৌন্দর্যে পরিপূর্ণ শ্রীনগর, অন্যদিকে বাংলাদেশের মুন্সিগঞ্জ জেলার একটি ঐতিহ্যবাহী উপজেলা। এই প্রবন্ধে আমরা উভয় শ্রীনগরের কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য তুলে ধরব।
কাশ্মীরের শ্রীনগর:
জম্মু ও কাশ্মীরের রাজধানী শ্রীনগর (উর্দু: سرینگر) ঝেলুম নদীর তীরে অবস্থিত। ১০ লক্ষের অধিক জনসংখ্যার এ শহরটি কাশ্মীর উপত্যকার সবুজ মাঠ, হ্রদ, পাহাড় ও বার্চ ও উইলো গাছে ভরা অরণ্যের জন্য বিখ্যাত। শীতকালে তীব্র শীতের কারণে রাজধানী ছয় মাসের জন্য জম্মুতে স্থানান্তরিত হয়। এখানকার কুটির শিল্প যেমন কার্পেট, রেশম ও পশমের বস্ত্র, কাঠ ও চামড়ার কাজ বিশ্ববিখ্যাত। ৭ম শতকের একটি মসজিদ ও ১৬শ শতকের একটি দুর্গ এ শহরের ঐতিহ্যকে আরও সমৃদ্ধ করেছে। ১৯৬৯ সালে প্রতিষ্ঠিত শ্রীনগর বিশ্ববিদ্যালয় এ শহরের শিক্ষা ব্যবস্থার উন্নতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। বুরজাহোম প্রত্নক্ষেত্র শ্রীনগরের প্রাচীন ইতিহাসের সাক্ষী।
মুন্সিগঞ্জের শ্রীনগর:
বাংলাদেশের মুন্সিগঞ্জ জেলার শ্রীনগর উপজেলার আয়তন ২০৩ বর্গকিলোমিটার। জনসংখ্যা প্রায় ২৫৯৮৮৭। পদ্মা ও ইছামতি নদী এবং আড়িয়াল বিল এ উপজেলার উল্লেখযোগ্য জলাশয়। ১৯৮৩ সালে শ্রীনগর থানাকে উপজেলায় রূপান্তর করা হয়। এখানে শ্যামসিদ্ধির মঠ ও মন্দির, ষোলঘর মঠ, ভাগ্যকুল রাজবাড়ি প্রভৃতি প্রাচীন নিদর্শনাদি রয়েছে। ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে শ্রীনগরের শিবরামপুর খালে পাকবাহিনী ও মুক্তিযোদ্ধাদের মধ্যে সংঘর্ষে পাকবাহিনীর ৩ টি গানবোট ডুবে যায়। ধান, আলু, গম, সরিষা এ উপজেলার প্রধান কৃষি ফসল। কাঠের কাজ, স্বর্ণশিল্প, লৌহশিল্প, মৃৎশিল্প এখানকার উল্লেখযোগ্য কুটির শিল্প।