শ্মশান কমিটি

নাটোরের বড় হরিশপুর কাশিমপুর মহাশ্মশানে ঘটে যাওয়া এক ভয়াবহ ঘটনার কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে শ্মশান কমিটি। শনিবার সকালে ৫৬ বছর বয়সী তরুণ কুমার দাস নামের এক ব্যক্তির হাত-পা বাঁধা মৃতদেহ শ্মশানের ভোগ ঘরের বারান্দায় উদ্ধার করা হয়। পুলিশের তদন্তে জানা যায়, শ্মশানের ভান্ডারঘর থেকে ৩-৪ মণ কাসার মালামাল চুরি হয়েছে এবং মন্দিরের গ্রিল কাটা পড়েছে। শ্মশান কমিটির সহসভাপতি সুবল কুমার দাস জানান, তরুণ কুমার দীর্ঘদিন ধরে রাতে শ্মশানেই থাকতেন এবং তিনি মানসিকভাবে অসুস্থ ছিলেন বলে তাদের দাবি। তবে নিহতের ছেলে তপু কুমার দাস বাবার হত্যাকারীদের বিচারের দাবি করেছেন। নাটোর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মাহবুব রহমান জানান, তরুণ কুমারকে হত্যা করা হয়েছে এবং ঘটনার তদন্ত চলছে। এই ঘটনায় শ্মশান কমিটির ভূমিকা এবং তাদের নিরাপত্তা ব্যবস্থার ঘাটতি নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। শ্মশান কমিটির দায়িত্ব ছিল নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এবং এ ধরনের ঘটনা রোধ করা, কিন্তু তা তারা ব্যর্থ হয়েছে বলেই মনে হচ্ছে। এ ঘটনার পর শ্মশান কমিটির কার্যক্রম ও দায়িত্ব পালনের দক্ষতা নিয়ে জনসাধারণের মাঝে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে।

মূল তথ্যাবলী:

  • নাটোরের শ্মশানে হত্যাকাণ্ড
  • হাত-পা বাঁধা অবস্থায় মৃতদেহ উদ্ধার
  • শ্মশান কমিটির দাবি- নিহত ব্যক্তি ছিলেন ‘পাগল’
  • ভান্ডারঘর থেকে চুরি
  • পুলিশ তদন্ত শুরু