ড. শাহদীন মালিক: একজন বিশিষ্ট আইনজ্ঞ ও সংবিধান বিশেষজ্ঞ
বাংলাদেশের আইনক্ষেত্রে ড. শাহদীন মালিক একজন অত্যন্ত সম্মানিত ব্যক্তিত্ব। তিনি একজন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী, বিশিষ্ট আইনজ্ঞ, সংবিধান বিশেষজ্ঞ এবং আইন কর্মী। সিলেট জেলার বিশ্বনাথ উপজেলার শোরুয়ালা গ্রামে জন্মগ্রহণকারী শাহদীন মালিকের পিতা আব্দুল মালিক চৌধুরী বন বিভাগের প্রধান সংরক্ষক কর্মকর্তা ছিলেন।
শিক্ষা জীবনে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এলএলবি (পাস) ডিগ্রি লাভ করেন। পরবর্তীতে ১৯৭৯ সালে রাশিয়ার প্যাট্রিস লুমুম্বা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এবং ১৯৮৪ সালে ইউনিভার্সিটি অব পেনসিলভানিয়া ল স্কুল থেকে এলএলএম ডিগ্রী অর্জন করেন। ১৯৯৪ সালে লন্ডনের SOAS বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তিনি পিএইচডি ডিগ্রী অর্জন করেন।
আইনজীবী হিসেবে কর্মজীবনে, ২০০০ সালে জেলা আদালতে এবং ২০০৩ সালে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টে অনুশীলন শুরু করেন। তিনি 'Ergo Legal Counsel' নামে একটি আইন প্রতিষ্ঠানের প্রধান। তার আইন ব্যবসায়িক অভিজ্ঞতা দুই দশকেরও বেশি। এছাড়াও, ১৯৮০ সালে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রভাষক হিসেবে যোগদান করেন। ১৯৯০ সালে বাংলাদেশ লিগ্যাল এইড অ্যান্ড সার্ভিসেস ট্রাস্টে যোগদান করেন।
শাহদীন মালিক ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন স্কুলের প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক ও অনুষদ ছিলেন। ২০০৮ সালে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনজীবী ছিলেন। ২০০০ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত তিনি বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ল অ্যান্ড ইন্টারন্যাশনাল অ্যাফেয়ার্সে সম্মানসূচক পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি বাংলাদেশের সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনী সমালোচনা করেছিলেন।
তিনি সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য, ActionAid Bangladesh এর গভর্নিং বডির সদস্য এবং Refugee and Migratory Movement Research Unit এর সদস্য। এছাড়াও, তিনি পূবালী ব্যাংক লিমিটেডের একজন স্বতন্ত্র পরিচালক এবং গণ বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী অধ্যাপক। তিনি ১৯৯৭ সালে 'Public Interest Litigation in South Asia - Rights in Search of Remedies' নামে একটি বই লিখেছেন। ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারীতে, তিনি বাংলাদেশের পরবর্তী নির্বাচন কমিশনারের জন্য বিবেচনা থেকে নাম প্রত্যাহার করে নেন।
সাম্প্রতিক খবরে জানা গেছে, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার সংবিধান সংস্কারের উদ্যোগ নিয়েছে এবং ড. শাহদীন মালিককে সংবিধান সংস্কার কমিশনের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।