শামসুন্নাহার হল

আপডেট: ৭ জানুয়ারী ২০২৫, ১:১১ এএম

শামসুন্নাহার হল: একাধিক অর্থ ও বিতর্কের জায়গা

"শামসুন্নাহার হল" শব্দটি দুটি ভিন্ন প্রেক্ষাপটে ব্যবহৃত হয়, যার ফলে বিভ্রান্তি সৃষ্টি হতে পারে। একটি হল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি ছাত্রীনিবাস, অন্যটি একজন বিশিষ্ট পুলিশ কর্মকর্তার নাম। এই নিবন্ধে আমরা উভয় প্রেক্ষাপটেই শামসুন্নাহার হলের বিষয়টি আলোচনা করব।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শামসুন্নাহার হল:

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শামসুন্নাহার হল হলো একটি ছাত্রীনিবাস, যেখানে ২০০২ সালের ২৩ জুলাই এক ভয়াবহ পুলিশি অভিযান চালানো হয়। এই অভিযানে প্রায় ২০০ ছাত্রী আহত হয় এবং এই দিনটি "শামসুন্নাহার হল ট্র্যাজেডি দিবস" হিসেবে স্মরণ করা হয়। তৎকালীন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) সরকারের আমলে এই ঘটনা ঘটেছিল। ছাত্রীরা জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের নেতাদের ছাত্রাবাসে অননুমোদিতভাবে থাকার প্রতিবাদ জানিয়েছিল। পুলিশের এই অভিযানের পর বিশ্ববিদ্যালয় জুড়ে ব্যাপক প্রতিবাদ হয় এবং উপাচার্যসহ অন্যান্য কর্মকর্তাদের পদত্যাগ করতে হয়। এই ঘটনার তদন্তের জন্য একটি কমিশনও গঠিত হয়েছিল।

বেগম শামসুন্নাহার মাহমুদ:

বেগম শামসুন্নাহার মাহমুদ (১৯০৮-১৯৬৪) ছিলেন বাংলাদেশের একজন নারী মুক্তি আন্দোলনের নেত্রী, বিশিষ্ট সাহিত্যিক, শিক্ষাবিদ, রাজনীতিবিদ ও সমাজসেবিকা। তিনি জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের স্নেহধন্য ছিলেন। তার নামে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি ছাত্রী হল ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি হল নামকরণ করা হয়েছে। তিনি ১৯০৮ সালের ১৯ অক্টোবর বর্তমান ফেনী জেলার গুথুমা গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন এবং ১৯৬৪ সালের ১০ এপ্রিল ঢাকায় মৃত্যুবরণ করেন।

স্থান: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়, ফেনী জেলার গুথুমা গ্রাম।

ব্যক্তি: বেগম শামসুন্নাহার মাহমুদ, কাজী নজরুল ইসলাম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য (২০০২), পুলিশ কর্মকর্তা কোহিনূর মিয়া।

সংগঠন: বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল, জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ, নিখিল বঙ্গ মুসলিম মহিলা সমিতি।

আমরা আশা করি এই তথ্য আপনার জন্যে সহায়ক হবে। শামসুন্নাহার হল (ছাত্রীনিবাস) সম্পর্কে আরও বিস্তারিত তথ্যের জন্য আমরা আপনাকে পরবর্তীতে আরও আপডেট করে জানাব।

মূল তথ্যাবলী:

  • ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শামসুন্নাহার হলে ২০০২ সালের ২৩ জুলাই পুলিশি অভিযান চালানো হয়।
  • এই অভিযানে ২০০ ছাত্রী আহত হয়।
  • ২৩ জুলাই শামসুন্নাহার হল ট্র্যাজেডি দিবস হিসেবে স্মরণ করা হয়।
  • বেগম শামসুন্নাহার মাহমুদ ছিলেন একজন নারী মুক্তি আন্দোলনের নেত্রী, সাহিত্যিক, শিক্ষাবিদ ও সমাজসেবিকা।
  • তার নামে ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের হল রয়েছে।

একই নামে একাধিক ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান ও স্থান থাকতে পারে। সুনির্দিষ্টভাবে জানতে সংবাদ লিংকে প্রবেশ করুন।