শামস নামটি একাধিক ব্যক্তি, সংগঠন বা ঘটনার সাথে সম্পর্কিত হতে পারে, যার ফলে কিছুটা দ্ব্যর্থতা দেখা দিতে পারে। নিম্নে তাদের সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হল:
১. আল-শামস (১৯৭১): ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধকালীন পূর্ব পাকিস্তানে পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর সহায়তায় গঠিত একটি আধা-সামরিক বাহিনী ছিল আল-শামস। 'আল-শামস' আরবি শব্দ, যার অর্থ 'সূর্য'। এর সদস্যরা অতি দক্ষিণপন্থী রাজনৈতিক মতাদর্শের অনুসারী ছিল। ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর পাকিস্তানি বাহিনীর আত্মসমর্পণের পর আল-শামস বিলুপ্ত হয়।
২. নওয়াব শামস-উদ্-দৌলাহ (১৮২২-১৮৩১): ঢাকার নায়েব নাজিম (১৮২২-১৮৩১) ছিলেন নওয়াব শামস-উদ্-দৌলাহ। তিনি ব্রিটিশবিরোধী ছিলেন এবং ব্রিটিশ শাসন থেকে দেশকে মুক্ত করার জন্য ভারতের অন্যান্য রাজন্যবর্গ ও ব্রিটিশবিরোধী নেতাদের সাথে যোগাযোগ করে একটি মহাপরিকল্পনা প্রণয়নে মুখ্য ভূমিকা পালন করেছিলেন। কিন্তু ষড়যন্ত্রটি উন্মোচিত হওয়ায় তিনি বন্দী হন এবং দীর্ঘদিন কারাভোগ করেন। তাঁর ভ্রাতা নওয়াব নসরত জং ইংরেজ অনুগত ছিলেন এবং তিনি শামস-উদ্-দৌলাহকে কারাগার থেকে মুক্ত করেছিলেন। ১৮২২ সালে তাঁর ভ্রাতা নসরত জংয়ের মৃত্যুর পর নামমাত্র নায়েব-নাজিমের পদ গ্রহণ করেন এবং ১৮৩১ সালে মৃত্যুবরণ করেন।
৩. শামস তাবরিজি (১১৮৫-১২৪৮): ইরানি সুফি ব্যক্তিত্ব শামস তাবরিজি (শামস আল দিন মোহাম্মদ) বিখ্যাত মুসলিম জ্ঞান তাপস জালালউদ্দিন রুমির গুরু ছিলেন। 'শামস' শব্দের অর্থ 'সূর্য'। তাঁর জীবন ও লেখাগুলি আজও বহুল আলোচিত। রুমির কাব্যগুলোতে শামস তাবরিজির প্রভাব স্পষ্ট। শামস তাবরিজি সম্পর্কে তথ্যের অভাব রয়েছে, তাই আরও বিস্তারিত জানার জন্য আমরা আপনাকে পরবর্তীতে তথ্য দিতে পারবো।