শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি একজন বিশিষ্ট বাংলাদেশী রাজনীতিবিদ। তিনি বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) একজন যুগ্ম-মহাসচিব এবং লক্ষ্মীপুর-৩ (সদর উপজেলা) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য। তিনি ১৯৬৮ সালের ২ ফেব্রুয়ারি লক্ষ্মীপুর পৌরসভার বাঞ্চানগর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা হাজী বশির উল্যাহ চৌধুরী ছিলেন লক্ষ্মীপুরের একজন বনেদী ব্যবসায়ী এবং মাতা হোসেনে আরা বেগম গৃহিণী ছিলেন। তার শিক্ষাজীবন শুরু হয় লক্ষ্মীপুর টাউন প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে এবং পরবর্তীতে লক্ষ্মীপুর আদর্শ সামাদ সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় এবং ঢাকা সরকারি বিজ্ঞান কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সম্পন্ন করেন। তিনি ১৯৮৫-১৯৮৬ শিক্ষাবর্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফলিত রসায়ন এবং রসায়নিক প্রযুক্তিবিদ্যা বিভাগে ভর্তি হন এবং ১৯৮৮ সালে অনার্স এবং ১৯৮৯ সালে এম.এস.সি ডিগ্রি লাভ করেন। ১৯৯৩ সালে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইন্সটিটিউট থেকে ডিপ্লোমা-ইন-এডুকেশন সম্পন্ন করেন।
শহীদ উদ্দিন চৌধুরীর রাজনৈতিক জীবনের সূচনা হয় ১৯৮০ সালে, রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের লক্ষ্মীপুর সফরকালে। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রদলের বিভিন্ন পদে দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৯০ সালে তিনি সর্বোচ্চ ভোটে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংসদের (ডাকসু) সদস্য নির্বাচিত হন। তিনি ডাকসুর ভারপ্রাপ্ত ভাইস প্রেসিডেন্ট এবং ভারপ্রাপ্ত সাহিত্য সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন। তিনি ১৯৯৬-১৯৯৮ সাল পর্যন্ত কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সভাপতি ছিলেন। ১৯৯৯ সালে তিনি বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য নির্বাচিত হন।
২০০১ সালে এবং ২০০৮ সালে তিনি লক্ষ্মীপুর-৩ আসন থেকে বিএনপির প্রার্থী হিসেবে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। তিনি সংসদের বিভিন্ন স্থায়ী কমিটির সদস্য ছিলেন। তিনি বর্তমানে বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির প্রচার সম্পাদক, ত্রাণ ও পুনর্বাসন কমিটির সমন্বয়ক এবং বিএনপি মিডিয়া সেলের সদস্য সচিব। তিনি লক্ষ্মীপুর জেলা বিএনপির আহ্বায়কের দায়িত্বও পালন করেছেন। তিনি সর্বদলীয় সংসদীয় গ্রুপ (APPG) এর ভাইস চেয়ারম্যানও ছিলেন এবং জাতিসংঘে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করেছেন। সাম্প্রতিক সময়ে তিনি রাজনৈতিক অভিযোগে গ্রেপ্তার হয়েছিলেন এবং পরে জামিনে মুক্তি পেয়েছেন।