লিসবন

লিসবন: পর্তুগালের রাজধানী ও বৃহত্তম শহর লিসবন (পর্তুগিজ: Lisboa) আটলান্টিক মহাসাগরের উপকূলে তাগুস নদীর মোহনার কাছে অবস্থিত। এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্যিক, প্রশাসনিক ও সাংস্কৃতিক কেন্দ্র। ঐতিহাসিকভাবে, লিসবন ফিনিশীয়, রোমান, মুর এবং খ্রিস্টানদের শাসন দেখেছে। ১৫ম ও ১৬শ শতকে পর্তুগিজদের সমুদ্রযাত্রা ও আবিষ্কারের যুগে লিসবন বিশ্বের একটি প্রধান বাণিজ্যকেন্দ্রে পরিণত হয়। ১৭৫৫ সালে ভয়াবহ ভূমিকম্পে শহরটি ধ্বংস হলেও, পরবর্তী পুনর্নির্মাণ কাজে নগরটি নতুন রূপ পায়। বর্তমানে, লিসবন পর্যটন, ব্যাংকিং ও সেবা খাতের উপর নির্ভরশীল। ঐতিহাসিক স্থাপত্য, জীবন্ত সংস্কৃতি এবং মনোরম সৈকতের জন্য লিসবন বিখ্যাত। আলফামা, বাইশা, বাইরো আলতু এর মত বিভিন্ন এলাকা শহরের ইতিহাস ও স্থাপত্যের বৈচিত্র্য প্রকাশ করে। জেরোনিমোস মঠ, বেলেঁ বুরুজ, সাঁও জর্জের প্রাসাদ এর মতো স্থাপনা পর্তুগালের ঐতিহাসিক গौरব বহন করে। লিসবন বিশ্ববিদ্যালয় পর্তুগালের প্রাচীনতম বিশ্ববিদ্যালয়গুলির মধ্যে একটি।

মূল তথ্যাবলী:

  • লিসবন পর্তুগালের রাজধানী এবং বৃহত্তম শহর।
  • এটি তাগুস নদীর মোহনার কাছে অবস্থিত।
  • ১৫ম-১৬শ শতকে পর্তুগিজদের সমুদ্রযাত্রার যুগে এটি প্রধান বাণিজ্যকেন্দ্র ছিল।
  • ১৭৫৫ সালের ভূমিকম্পে ধ্বংসের পরে পুনর্নির্মাণ হয়েছে।
  • বর্তমানে পর্যটন, ব্যাংকিং ও সেবা খাতের উপর অর্থনীতি নির্ভরশীল।