রেহানা আজাদ

আপডেট: ২৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ২:০২ পিএম

রেহানা আজাদ নামটি দুইজন ব্যক্তিকে নির্দেশ করতে পারে। একজন বাংলাদেশী চলচ্চিত্র অভিনেত্রী, আর একজন নারী উদ্যোক্তা। প্রথম রেহানা আজাদ (অভিনেত্রী): রেহানা জলি নামে পরিচিত এই চলচ্চিত্র অভিনেত্রী বাংলাদেশী চলচ্চিত্র শিল্পে পার্শ্ব চরিত্রে অভিনয়ের জন্য বিখ্যাত। ১৯৮৫ সালে ‘মা ও ছেলে’ চলচ্চিত্রে অভিনয়ের মাধ্যমে তার চলচ্চিত্রে অভিষেক হয়। এই চলচ্চিত্রের জন্যই তিনি শ্রেষ্ঠ পার্শ্বচরিত্রে অভিনেত্রী বিভাগে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করেন। তার কর্মজীবনের শুরু আশির দশকে টেলিভিশন নাটকের মাধ্যমে। বদরুন্নেসা আব্দুল্লাহ পরিচালিত ‘উজান চরের দুলি’ নাটকে ‘দুলি’ চরিত্রে তার অভিনয় প্রশংসিত হয়। তিনি মঞ্চ নাটকেও অভিনয় করেছেন, যেমন ‘তাইতো’। ‘মা ও ছেলে’ ছাড়াও তিনি ‘বিরাজ বৌ’, ‘প্রতীক্ষা’, ‘গোলমাল’, ‘প্রায়শ্চিত্ত’, ‘নিষ্পাপ’সহ অসংখ্য চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন। ১৯৯৪ সালে ‘এ জে মিন্টুর প্রথম প্রেম’ চলচ্চিত্রে তিনি প্রথম মায়ের চরিত্রে অভিনয় করেন। পরবর্তীতে ‘জীবন সঙ্গী’, ‘স্বপ্নের পৃথিবী’সহ অনেক চলচ্চিত্রে সালমান শাহ-এর মায়ের ভূমিকায় অভিনয় করেন। ২০১১ সালে ‘ছোট্ট সংসার’, ‘বস নাম্বার ওয়ান’ এবং ‘প্রিয়া আমার জান’ চলচ্চিত্রেও তিনি অভিনয় করেন। বিজ্ঞাপনেও কাজ করেছেন তিনি। ২০১৩ সালে ‘প্রাণ ম্যাংগো জুস’ এর বিজ্ঞাপনে মডেল হিসেবে কাজ করেছিলেন। তার অভিনয় জীবনে উত্থান-পতন উভয়ই ছিল। ২০১৫ সালে ‘মা বাবা সন্তান’ চলচ্চিত্রে তার অভিনয় বেশ সমালোচিত হয়।

দ্বিতীয় রেহানা আজাদ (উদ্যোক্তা): মানিকগঞ্জের একজন নারী উদ্যোক্তা, যিনি ই-কমার্সের মাধ্যমে আচার ও পিঠা বিক্রয় করেন। ওমেন অ্যান্ড ই-কমার্স ট্রাস্টের আয়োজনে সংবর্ধিত হন তিনি। তিনি তার ব্যবসায়িক উদ্যোগের কথা বর্ণনা করেন, যেখানে প্রথমদিকে অনেক সমালোচনার মুখোমুখি হলেও পরবর্তীতে সাফল্য পেয়েছেন।

মূল তথ্যাবলী:

  • রেহানা আজাদ নামে দুইজন ব্যক্তি রয়েছেন।
  • একজন জনপ্রিয় বাংলাদেশী চলচ্চিত্র অভিনেত্রী।
  • অন্যজন একজন সফল নারী উদ্যোক্তা।
  • চলচ্চিত্র অভিনেত্রী রেহানা জলি ১৯৮৫ সালে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার অর্জন করেন।
  • নারী উদ্যোক্তা রেহানা আজাদ ই-কমার্স ব্যবসায় সাফল্য অর্জন করেছেন।

একই নামে একাধিক ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান ও স্থান থাকতে পারে। সুনির্দিষ্টভাবে জানতে সংবাদ লিংকে প্রবেশ করুন।

গণমাধ্যমে - রেহানা আজাদ

২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ৬:০০ এএম

রেহানা আজাদ কেন্দ্রীয় বিএনপির কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য ও থানা বিএনপির সভাপতি আবুল হোসেন আজাদের সহধর্মিণী হিসেবে কেশবপুরের বউমা-শাশুড়ি সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য প্রদান করেন।