রেডিয়েন্ট ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড: বাংলাদেশের ঔষধ শিল্পে উজ্জ্বল নাম
২০০৫ সালে প্রতিষ্ঠিত রেডিয়েন্ট ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড বাংলাদেশের ঔষধ শিল্পে একটি উল্লেখযোগ্য নাম। ২০০৮ সাল থেকে তাদের উৎপাদন কার্যক্রম শুরু হলেও, দ্রুততম ব্যবসায়িক প্রবৃদ্ধি অর্জনে তাদের অবদান অসাধারণ। মানসম্মত ঔষধ উৎপাদন ও গ্রাহকদের প্রতি অঙ্গীকারের কারণে, তারা দেশের সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য ওষুধ কোম্পানি হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছে।
গুণগত মান ও মানবসম্পদের উন্নয়নে বিনিয়োগ রেডিয়েন্টের মূল কৌশল। তারা সর্বদা আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুসরণ করে এবং নিয়মিত নতুন নতুন প্রযুক্তি আপনয়ন করে। এছাড়াও, সাফল্যের পথে তারা সাংগঠনিক বৃদ্ধিতে গুরুত্ব দিয়েছে এবং আন্তর্জাতিক বাজারে ওষুধ রপ্তানি করে আসছে। ২০১১ সালে তারা আন্তর্জাতিক ব্যবসায়িক কার্যক্রম শুরু করে। কানাডা, হন্ডুরাস, নিকারাগুয়া, কোস্টারিকা, পানামা, পেরু, ডমিনিকান প্রজাতন্ত্র, গুয়াটেমালা, ইথিওপিয়া, কেনিয়া, সোমালিয়া, উগান্ডা, জিম্বাবুয়ে, ক্যামেরুন, নাইজেরিয়া, ঘানা, সিরিয়া, জর্ডান, নেপাল, শ্রীলঙ্কা, মায়ানমার, কম্বোডিয়া, ফিলিপাইন, আফগানিস্তান, পাকিস্তান এবং অবশ্যই বাংলাদেশ- এই সকল দেশেই রেডিয়েন্টের ঔষধ পৌঁছে যাচ্ছে।
রেডিয়েন্ট ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেডের অন্যান্য সংস্থাগুলির সাথে সম্পর্ক রয়েছে। তাদের অধীনে কয়েকটি অনুমোদিত প্রতিষ্ঠান কাজ করে, যেমন রেডিয়েন্ট নিউট্রাসিউটিক্যালস লিমিটেড, জেনফার বাংলাদেশ লিমিটেড, রেডিয়েন্ট এক্সপোর্ট ইম্পোর্ট এন্টারপ্রাইজ, রেডিয়েন্ট বিজনেস কনসোর্টিয়াম লিমিটেড, রেডিয়েন্ট ডিস্ট্রিবিউশন্স লিমিটেড, ফার্মাসিল লিমিটেড, রেডিয়েন্ট অনকোস মোলবিওল লিমিটেড, শামুৎশুক প্রিন্টার্স লিমিটেড, এরোমেট সার্ভিসেস লিমিটেড, এরোউইং অ্যাভিয়েশন লিমিটেড এবং রেডিয়েন্ট কেয়ার লিমিটেড। এই সংস্থাগুলির মাধ্যমে তারা বিভিন্ন ক্ষেত্রে তাদের ব্যবসা বৃদ্ধি করে চলেছে।
রেডিয়েন্টের কেন্দ্রীয় কার্যালয় ঢাকার মহাখালীতে এবং তাদের কারখানা গাজীপুরের টঙ্গিতে অবস্থিত। তাদের কঠোর মান নিয়ন্ত্রণ এবং পরিবেশ সংরক্ষণ সুবিধা একটি উল্লেখযোগ্য বিষয়। তারা ক্রমাগত জীবনরক্ষাকারী উদ্ভাবনী সমাধান এনে শিল্প এবং সাধারণ মানুষের মধ্যে চিকিৎসা সচেতনতা বৃদ্ধি করছে।
প্রতিষ্ঠানটির বিস্তৃত আন্তর্জাতিক যোগাযোগ তাদের ব্যবসায়িক সফলতার পেছনে একটি গুরুত্বপূর্ণ কারণ। রেডিয়েন্ট ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেডের ভবিষ্যৎ আরও উজ্জ্বল হবে এবং তারা ক্রমাগত মানসম্মত ঔষধ সরবরাহ করে দেশের স্বাস্থ্যসেবা খাতে অবদান রাখবে এই আশা করা যায়।