রাহাত আহমদ সিপার: অর্থ আত্মসাত ও চেক জালিয়াতির অভিযুক্ত
মৌলভীবাজারের কুলাউড়ায় অর্থ আত্মসাত ও চেক জালিয়াতির অভিযোগে সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামী রাহাত আহমদ সিপারকে গ্রেপ্তারের ঘটনা সম্প্রতি সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে। ১৪ জানুয়ারি ২০২০ তারিখে কুলাউড়া থানার ওসি (তদন্ত) সঞ্জয় চক্রবর্ত্তী গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রাজনগর উপজেলার মুন্সিবাজার এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করেন। সিপার দীর্ঘদিন ধরে পলাতক ছিলেন এবং প্রতারণার মাধ্যমে গাঁ ঢাকা দিয়ে মানুষের কাছ থেকে অর্থ আত্মসাত করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
তিনি কুলাউড়া উপজেলার জয়চন্ডী ইউনিয়নের ঘাঘটিয়া গ্রামের হাজী সায়েস্তা মিয়ার ছেলে। তার বিরুদ্ধে সিলেট, মৌলভীবাজারসহ বিভিন্ন স্থানে আদম ব্যবসা, আগর ব্যবসার নাম করে এনপি এন্টারপ্রাইজ নামের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের আড়ালে প্রতারণামূলকভাবে অর্থ আত্মসাতের অসংখ্য অভিযোগ রয়েছে। তার বিরুদ্ধে সাজাপ্রাপ্ত পাঁচটি মামলা রয়েছে, যার মধ্যে সিলেট কোতয়ালী থানায় জিআর মামলা (নং-১০৬৫/১০), সিআর ৫০/১২, ধারা এনআইএ্যাক্ট ১৩৮, সিআর ৭৫৭/১৫, সিআর ৭৫৪/১৫, ধারা এনআইএ্যাক্ট ১৩৮, সিআর ৫৩০/১৬, ধারা এনআইএ্যাক্ট ১৩৮ উল্লেখযোগ্য। এসব মামলায় তিনি ১ বছর ৬ মাসের সাজাপ্রাপ্ত আসামী ছিলেন।
কুলাউড়া থানার ওসি (তদন্ত) সঞ্জয় চক্রবর্ত্তী জানিয়েছেন, সিপারের বিরুদ্ধে অনেক মামলা ও প্রতারণার অভিযোগ রয়েছে এবং দীর্ঘদিন ধরে পলাতক ছিলেন। গ্রেপ্তারের পর তাকে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। তার অপরাধের তথ্য সঠিকভাবে যাচাই করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও তিনি জানিয়েছেন।
এই ঘটনায় রাহাত আহমদ সিপারের বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাত ও চেক জালিয়াতির অভিযোগের বিষয়টি গুরুত্বের সাথে বিবেচিত হওয়া প্রয়োজন। আইন প্রয়োগকারী সংস্থার দায়িত্ব এ ধরণের অপরাধ রোধ এবং অপরাধীদের বিচারের মাধ্যমে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করা।