রাশিয়ার সামরিক বাহিনী

আপডেট: ৩১ ডিসেম্বর ২০২৪, ৮:২৪ পিএম

রাশিয়ার সশস্ত্র বাহিনী (রুশ: Вооружённые си́лы Росси́йской Федера́ции, উচ্চারণ: Vooruzhonnije síly Rossíyskoj Federátsii) রাশিয়ার সামরিক বাহিনী, যা সোভিয়েত ইউনিয়ন ভেঙ্গে যাবার পর ১৯৯২ সালে গঠিত হয়।

সোভিয়েত ইউনিয়ন ভেঙে যাওয়ার পর তৎকালীন রাশিয়া ফেডারেশনের প্রেসিডেন্ট বরিস ইয়েলৎসিন ১৯৯২ সালে ৭ মে সোভিয়েত আর্ম ফোর্সের সদস্য ও সরঞ্জাম নিয়ে প্রতিষ্ঠা করেন রাশিয়ান সামরিক বাহিনী। আঞ্চলিক দ্বন্দ্ব, উভয় বিশ্বযুদ্ধ এবং শীতল যুদ্ধের সঙ্গে জড়িত ছিল এই সামরিক বাহিনী। সোভিয়েত ইউনিয়ন পতনের আগে এটি ছিল বিশ্বের অত্যন্ত শক্তিশালী সামরিক বাহিনী। যা সেই সময় সৈন্য এবং পারমাণবিক অস্ত্র সংখ্যার দিক থেকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের চেয়ে এগিয়ে ছিল।

রাশিয়ার সামরিক বাজেট ৬৫.৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার (২০১৫)। যা মোট জিডিপির ৫.৪%।

স্থল বাহিনী, বিমানবাহিনী, নৌবাহিনী, স্ট্র্যাজিক রকেট ফোর্স, বিশেষ বাহিনী এবং এয়ারবোম ট্রুপস নিয়ে রাশিয়া ফেডারেশনের সামরিক বাহিনী গঠিত। নিয়মিত সেনা সদস্য ১০,০০,০০০, রিজার্ভ আর্মি ২০,০০,০০০ এবং আধা-সামরিক বাহিনীতে রয়েছে ৪,৪৯,০০০ জন সদস্য। রাশিয়ার রয়েছে ২২,৭১০টি সাঁজোয়া ট্যাংক, একটি বিমানবাহী রণতরী, ১৫টি উভচর যুদ্ধজাহাজ, পাঁচটি ক্রুজার, ১৪টি ডেস্ট্রয়ার যুদ্ধজাহাজ, পাঁচটি ফ্রিগেট, ৭০টি করভিট যুদ্ধজাহাজ, ৩৩টি নিউক্লিয়ার সাবমেরিন, ১৭টি সাবমেরিন, ১,২৬৪টি যুদ্ধবিমান, ১৯৫টি বোমারু বিমান, ১,২৬৭টি জঙ্গিবিমান, ১,৬৫৫টি সাঁজোয়া হেলিকপ্টার এবং ১২ হাজার পরমাণু অস্ত্র। রাশিয়া বিশ্বের অনেক দেশে অস্ত্র রপ্তানি করে থাকে। দুনিয়ার সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত এবং জনপ্রিয় অটোমেটিক রাইফেল একে-৪৭-এর নির্মাতা ও ডিজাইনার রাশিয়ার লেফটেন্যান্ট জেনারেল মিখাইল কালাশনিকভ। এ পর্যন্ত প্রায় ১০ কোটিরও অধিক এই অস্ত্র বিক্রি হয়েছে এবং বিশ্বের প্রায় ৫০টিরও বেশি দেশের সামরিক বাহিনীতে এটি ব্যবহৃত হচ্ছে।

মূল তথ্যাবলী:

  • ১৯৯২ সালে সোভিয়েত ইউনিয়নের পতনের পর রাশিয়ার সশস্ত্র বাহিনী গঠিত হয়।
  • রাশিয়ার সামরিক বাহিনী বিশ্বের অন্যতম শক্তিশালী বাহিনী।
  • স্থল, বিমান ও নৌবাহিনীসহ বিভিন্ন শাখা নিয়ে গঠিত রাশিয়ার সামরিক বাহিনী।
  • রাশিয়ার সামরিক বাহিনী বিশ্বের বিভিন্ন দেশে অস্ত্র রপ্তানি করে।
  • রাশিয়ার সামরিক বাহিনীর বাজেট (২০১৫ সালে) ৬৫.৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ছিল।

একই নামে একাধিক ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান ও স্থান থাকতে পারে। সুনির্দিষ্টভাবে জানতে সংবাদ লিংকে প্রবেশ করুন।