রন হক সিকদার: ন্যাশনাল ব্যাংক দুর্নীতি মামলায় আদালতের নির্দেশ
সম্প্রতি ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালত রন হক সিকদারের সাথে সম্পর্কিত ন্যাশনাল ব্যাংক দুর্নীতি মামলায় একটি গুরুত্বপূর্ণ আদেশ জারি করেছে। দুদকের উপপরিচালক জি এম আহসানুলের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত সিকদার গ্রুপের সমস্ত স্থাবর সম্পদ জব্দের নির্দেশ দিয়েছে। এই স্থাবর সম্পদের মধ্যে রয়েছে রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে অবস্থিত ১৩ তলা ভবন, জিগাতলায় সীমান্ত স্কয়ার মার্কেটের তিনটি ফ্লোর, হাজারীবাগের সিকদার রিয়েল এস্টেট বিল্ডিং, ধানমন্ডির জেড এইচ সিকদার উইমেন মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল, বনানীর কামাল টাওয়ারের একটি অংশ, মুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখানে সিকদার শপিং কমপ্লেক্স, পটুয়াখালী, বাগেরহাট, শরীয়তপুরের বিভিন্ন স্থানে অবস্থিত ভবন এবং জেড এইচ সিকদার বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি ভবন।
আবেদনে উল্লেখ করা হয়, ন্যাশনাল ব্যাংক লিমিটেডের সাবেক চেয়ারম্যান জয়নুল হক শিকদার ও ব্যাংকের অন্যান্য সদস্যদের বিরুদ্ধে দুর্নীতি, স্বেচ্ছাচারিতা, অর্থ লুটপাট, ঘুষের বিনিময়ে ঋণ প্রদান এবং মানিলন্ডারিংয়ের অভিযোগ রয়েছে। অনুসন্ধানে প্রমাণিত হয় যে, আত্মসাতকৃত অর্থ দিয়ে তারা প্রচুর সম্পদ গড়ে তুলেছে এবং ন্যাশনাল ব্যাংকের ভবন ভাড়া করে সেই ভাড়ার টাকা সিকদার পরিবারের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট ব্যাংক হিসাবে জমা করছিল। রন হক সিকদারের মালিকানাধীন আর এন্ড আর হোল্ডিংস লিঃ, মাল্টিপেক্স হোল্ডিংস লিঃ ও পাওয়ারপ্যাক ইকোনমিক জোন, এবং তার পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের সাথে সম্পৃক্ত প্রতিষ্ঠানগুলোতে এই অর্থ জমা হচ্ছিল। মালিকপক্ষের বেশিরভাগ সদস্য বিদেশে অবস্থান করছে এবং সম্পত্তি বিক্রি বা স্থানান্তরের চেষ্টা করছে বলেও অভিযোগ উঠেছে। এই কারণে সম্পত্তি জব্দ করা প্রয়োজন বলে দুদক মনে করে।