বাংলাদেশের মো. জিয়াউল হক: একাধিক ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের উল্লেখ
এই নামের সাথে একাধিক ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান জড়িত, তাই তাদের পৃথকভাবে বর্ণনা করা প্রয়োজন।
- *১. সৈয়দ মোহাম্মদ জিয়াউল হক (সেনা কর্মকর্তা):**
এই জিয়াউল হক একজন সাবেক বাংলাদেশি সেনা কর্মকর্তা যিনি ২০১১ সালের সেনা অভ্যুত্থানের চেষ্টায় জড়িত থাকার অভিযোগে অভিযুক্ত ছিলেন। তিনি আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের সাথে যুক্ত থাকার এবং বাংলাদেশে সন্ত্রাসী হামলা চালানোর অভিযোগও রয়েছে। তবে আদালতে এসব অভিযোগ প্রমাণিত হয়নি। তিনি মৌলভীবাজার জেলার মোস্তফাপুরে জন্মগ্রহণ করেন এবং বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে ৪১তম দীর্ঘ কোর্সের মাধ্যমে যোগদান করেন। তিনি মিলিটারি ইনস্টিটিউট অফ সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজিতে পড়াশোনা করেছেন। ২০২৪ সালে একজন সাংবাদিক দাবি করেন যে এই অভিযোগগুলি ভিত্তিহীন এবং তাকে ডিজিএফআই অপহরণ করেছিল। ২০০৬ সালে তার উপর ৪০ মিলিয়ন টাকার পুরস্কার ঘোষণা করা হয়।
- *২. জিয়াউল হক (সমাজসেবক):**
এই জিয়াউল হক একজন বাংলাদেশি সমাজসেবক। তিনি ১৯৩৪ সালের ৬ই জুন চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার বর্তমান ভোলাহাট উপজেলায় জন্মগ্রহণ করেন। সমাজসেবায় অবদানের জন্য তাকে ২০২৪ সালে একুশে পদক দেওয়া হয়। তিনি ‘জিয়াউল হক সাধারণ পাঠাগার’ প্রতিষ্ঠা করেন এবং দীর্ঘদিন ধরে দরিদ্র শিক্ষার্থীদের বই বিতরণসহ বিভিন্ন সামাজিক কাজে নিয়োজিত ছিলেন। ইউনিলিভার বাংলাদেশ কর্তৃক ‘সাদা মনের মানুষ’ পদক প্রাপ্ত তিনি।
- *৩. রিয়ার অ্যাডমিরাল মো. জিয়াউল হক (বাংলাদেশ কোস্টগার্ড):**
এই জিয়াউল হক বাংলাদেশ কোস্টগার্ডের মহাপরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। ১৯৮৯ সালে বাংলাদেশ নৌবাহিনীতে যোগদান করেন এবং নানা গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পালন করেন। জার্মানিতে নেভাল অফিসার্স ট্রেনিং কোর্স সম্পন্ন করেন। তিনি বাংলাদেশ নৌবাহিনীর বিভিন্ন যুদ্ধজাহাজের অধিনায়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। অসামান্য সেবা পদক (ওএসপি) এবং ২০২৩ সালে জাতীয় শুদ্ধাচার পদক লাভ করেছেন।
মো. জিয়াউল হক (সেনা কর্মকর্তা), মো. জিয়াউল হক (সমাজসেবক), মো. জিয়াউল হক (কোস্টগার্ড)
সৈয়দ মোহাম্মদ জিয়াউল হক (সেনা কর্মকর্তা): ২০১১ সালের অভ্যুত্থানের অভিযুক্ত, আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের সাথে সম্পৃক্ততার অভিযোগ।
জিয়াউল হক (সমাজসেবক): ২০২৪ একুশে পদক প্রাপ্ত, ‘জিয়াউল হক সাধারণ পাঠাগার’ প্রতিষ্ঠাতা।
রিয়ার অ্যাডমিরাল মো. জিয়াউল হক (কোস্টগার্ড): বাংলাদেশ কোস্টগার্ডের সাবেক মহাপরিচালক, অসামান্য সেবা পদক ও জাতীয় শুদ্ধাচার পদক প্রাপ্ত।
মো. জিয়াউল হক নামে একাধিক ব্যক্তি রয়েছেন, যারা সেনা কর্মকর্তা, সমাজসেবক, এবং কোস্টগার্ড কর্মকর্তা হিসাবে পরিচিত। এই প্রবন্ধে তাদের জীবনী, কর্মজীবন ও অর্জনের বিবরণ দেওয়া হয়েছে।
বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, আনসারুল্লাহ বাংলা টিম, বাংলাদেশ কোস্টগার্ড, জিয়াউল হক সাধারণ পাঠাগার, মাইজভাণ্ডারী একাডেমি, সৈয়দ জিয়াউল হক মাইজভাণ্ডারী ট্রাস্ট
সৈয়দ মোহাম্মদ জিয়াউল হক (সেনা কর্মকর্তা), সৈয়দ জিলুল হক, ইলিয়াস হোসেন, জিয়াউল হক (সমাজসেবক), তৈয়ব আলী মোল্লা, শরীফুন নেছা, সারাবান তহুরা, ফরিদা হক, রিয়ার অ্যাডমিরাল মো. জিয়াউল হক (কোস্টগার্ড), মীর এরশাদ আলী, লেফটেন্যান্ট কমান্ডার বিএন খন্দকার মুনিফ তকি, সৈয়দ জিয়াউল হক মাইজভাণ্ডারী, হযরত সৈয়দ দেলাওর হোসাইন, সৈয়দা সাজেদা খাতুন, মৌলভী মোজাম্মেল হক, সৈয়দ আহমদ উল্লাহ মাইজভান্ডারী, সৈয়দা মনোয়ারা বেগম, বদিউজ্জামান চৌধুরী (বদন সিকদার), সৈয়দ আমিনুল হক ওয়াসেল, আলমগীর কবির, প্রকৌশলী আজিজুর রহমান চৌধুরী, মুহাম্মদ আনোয়ার পাশা, ড. মোহাম্মদ মুরশেদুল হক, মো. গোলাম রসুল, মনতোষ বড়ুয়া, নাসির উদ্দিন হায়দার, আবু নাসের অন্তু, মাওলানা মুহাম্মদ মুজিবুল হক মাইজভান্ডারী, সফিউল আলম নিজাম, আশরাফুজ্জামান আশরাফ, মাকসুদুর রহমান হাসনু, নুরু করিম নুরু, আশরাফ উদ্দিন সিদ্দিকী, সাহাব উদ্দীব, মেঝবাহ উদ্দীন, শামসুল ইসলাম, ওমর ফারুক, সফিকুল ইসলাম সরওয়ার আলম, আকতার মিয়া, কামাল উদ্দিন, আমিনুল ইসলাম সোহেল, বদিউল আলম, মাকসুদুল আলম, সাইফুল ইসলাম
মৌলভীবাজার, মোস্তফাপুর, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, ভোলাহাট উপজেলা, ফটিকছড়ি, মাইজভাণ্ডার, বোয়ালখালী, চট্টগ্রাম, নানুপুর, চট্টগ্রাম কলেজিয়েট স্কুল, চট্টগ্রাম কলেজ, কানুনগোপাড়া, স্যার আশুতোষ ডিগ্রী কলেজ, ঢাকা, সাভার, মিরপুর, সৌদি আরব, ভারত, আইভেরিকোস্ট, ষোলশহর, চট্টগ্রাম বন্দর, নগরী
মো. জিয়াউল হক, সেনা অভ্যুত্থান, সন্ত্রাসবাদ, সমাজসেবক, একুশে পদক, কোস্টগার্ড, নৌবাহিনী, বাংলাদেশ, সামরিক কর্মকর্তা, আনসারুল্লাহ বাংলা টিম, ডিজিএফআই, পুরস্কার, সাংবাদিক, সমাজ সেবা, পাঠাগার