মেহেদী খান নামটি একাধিক ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে নির্দেশ করতে পারে। এই লেখায় আমরা দুইজন মেহেদী খানের কথা বলবো, যাদের জীবনী ও কাজের ক্ষেত্র সম্পূর্ণ ভিন্ন।
- *প্রথম মেহেদী খান:**
মেহেদী হাসান খান একজন বাংলাদেশী চিকিৎসক ও প্রোগ্রামার। তিনি ২০০৩ সালে ইউনিকোড ও এএনএসআই সমর্থিত বাংলা লেখার বিনামূল্যের ও মুক্ত সফটওয়্যার ‘অভ্র’ কিবোর্ড তৈরি করেন। এই অভ্র কিবোর্ড বাংলাদেশের জাতীয় পরিচয়পত্র তৈরিতে ব্যবহৃত হয়েছে। তিনি ১৯৮৬ সালের ২৩ জুলাই ঢাকায় জন্মগ্রহণ করেন। ২০০১ সালে আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে মাধ্যমিক এবং ২০০৩ সালে ঢাকার নটর ডেম কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পাস করেন। ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ থেকে এমবিবিএস ডিগ্রি লাভ করেন। তার প্রথম বাংলা ফন্ট ইউনিবিজয় ডট নেট ফ্রেমওয়ার্ক ও ভিজ্যুয়াল বেসিক উপর লেখেন। পরে তিনি অভ্র কিবোর্ড ব্যবহারকারীদের সুবিধার্থে ডট নেট ফ্রেমওয়ার্ক ছাড়াই লেখেন। অভ্র সম্পূর্ণভাবে ইউনিকোড উপযোগী, যা ইউনিকোড কনসোর্টিয়াম দ্বারা ২০০৩ সালের ১৪ জুন স্বীকৃত হয়। তিনি তার সফটওয়্যার প্রতিষ্ঠান ওমিক্রনল্যাব প্রতিষ্ঠা করেন। অভ্র কী-বোর্ড প্রথম উন্মুক্ত করা হয় ২০০৩ সালে ২৬ মার্চ। ওমিক্রনল্যাব থেকে অভ্র উন্মুক্ত করা হয় ২০০৩ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর। ২০০৭ সালে অভ্র কিবোর্ড পোর্টালটি বিনামূল্যে ব্যবহারের উদ্দেশ্যে উন্মুক্ত করে দেন। ২০১১ সালে তথ্যপ্রযুক্তি শিল্পে বিশেষ অবদানের জন্য তাকে বেসিস পুরস্কার দেওয়া হয়।
- *দ্বিতীয় মেহেদী খান:**
মেহেদী হাসান খান (জন্ম: জুলাই ১৮, ১৯২৭ - মৃত্যু: জুন ১৩, ২০১২) ছিলেন পাকিস্তানের একজন বিখ্যাত গজল গায়ক ও ললিউডের নেপথ্য কণ্ঠশিল্পী। 'গজল সম্রাট' উপাধিতে পরিচিত। তিনি অবিভক্ত ভারতের রাজস্থানে জন্মগ্রহণ করেন এবং ভারত বিভাগের পর পাকিস্তানে অভিবাসিত হন। জীবনের প্রথম দিকে গাড়ি ও সাইকেলের মেকানিক হিসেবে কাজ করতেন। ১৯৫২ সালে রেডিও পাকিস্তানে গান গাওয়ার মাধ্যমে তার সঙ্গীত জীবন শুরু হয়। তিনি তমঘা-ই-ইমতিয়াজ, প্রাইড অফ পারফরম্যান্স, হিলাল-ই-ইমতিয়াজ এবং গোর্খা দক্ষিণা বাহু উপাধিতে ভূষিত হন। তার জনপ্রিয় গজলের মধ্যে অনেক রয়েছে। ২০১২ সালের ১৩ জুন করাচীর আগা খান বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন।