মুহাম্মদ হুমায়ুন কবীর

আপডেট: ৩ জানুয়ারী ২০২৫, ২:৩৭ এএম

বহুত্ববাদী নাম “মুহাম্মদ হুমায়ুন কবীর” বিভিন্ন ব্যক্তি, সংগঠন ও ঘটনার সাথে সম্পর্কিত, যা নির্দিষ্ট প্রসঙ্গ ছাড়া নির্ণয় করা কঠিন। উপস্থাপিত তথ্য থেকে দুজন মুহাম্মদ হুমায়ুন কবীর সম্পর্কে কিছু তথ্য পাওয়া গেছে:

প্রথম মুহাম্মদ হুমায়ুন কবীর: একজন বাংলাদেশি প্রগতিশীল কবি। তিনি ২৫ ডিসেম্বর ১৯৪৮ সালে জন্মগ্রহণ করেন এবং ৬ জুন ১৯৭২ সালে নিহত হন। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের শিক্ষক ছিলেন এবং বামপন্থী রাজনীতিতে সক্রিয় ছিলেন। তিনি পূর্ব বাংলার সর্বহারা পার্টির সদস্য ছিলেন এবং পার্টির অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বের কারণে তার মৃত্যু হয়। তার লেখা কবিতা ‘কুসুমিত ইস্পাত’ এবং ‘রক্তের ঋণ’ নামে দুটি কাব্যগ্রন্থ রয়েছে। ‘বাংলাদেশ লেখক শিবির’-এর আহ্বায়কের দায়িত্বও পালন করেছেন। তার বোনকে বিয়ে করেছিলেন সেলিম শাহনেওয়াজ ফজলু। তার মৃত্যুর পর পূর্ব বাংলার সর্বহারা পার্টি ‘খতম করাটা ভুল হয়েছে’ বলে মূল্যায়ন করে।

দ্বিতীয় মুহাম্মদ হুমায়ুন কবীর: একজন বাংলাদেশি সরকারি কর্মকর্তা। তিনি রাজশাহী বিভাগের বিভাগীয় কমিশনার ছিলেন। তার জন্ম ২০ ফেব্রুয়ারী ১৯৬৫ খ্রিস্টাব্দে খুলনায়। তিনি খুলনার সেন্ট জোসেফ্‌স উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি এবং ঢাকা কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের লোক প্রশাসন বিভাগে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রী লাভ করেন। অস্ট্রেলিয়ার মোনাশ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে জননীতি ও ব্যবস্থাপনা বিষয়ে মাস্টার্স এবং পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশিপ বিষয়ে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন। তিনি বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিসের প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তা এবং ২০১৭ সালে জাতীয় শুদ্ধাচার পুরস্কার লাভ করেন। বর্তমানে তিনি কোন দপ্তরে কর্মরত, সে বিষয়ে তথ্য সীমিত।

উপরোক্ত ব্যক্তিদের বাইরে আরও অনেক মুহাম্মদ হুমায়ুন কবীর থাকতে পারেন, তাই আরও তথ্য উপস্থাপন করা হলে আরও স্পষ্ট তথ্য দেওয়া সম্ভব হবে।

মূল তথ্যাবলী:

  • ১৯৪৮ সালে জন্মগ্রহণকারী হুমায়ুন কবির একজন প্রগতিশীল কবি ছিলেন যিনি ১৯৭২ সালে নিহত হন।
  • তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের শিক্ষক এবং বামপন্থী রাজনীতির সাথে জড়িত ছিলেন।
  • তিনি পূর্ব বাংলার সর্বহারা পার্টির অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বে নিহত হন।
  • তার 'কুসুমিত ইস্পাত' ও 'রক্তের ঋণ' নামে দুটি কাব্যগ্রন্থ রয়েছে।
  • আরেকজন মুহাম্মদ হুমায়ুন কবীর বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিসের কর্মকর্তা এবং রাজশাহীর বিভাগীয় কমিশনার ছিলেন।

একই নামে একাধিক ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান ও স্থান থাকতে পারে। সুনির্দিষ্টভাবে জানতে সংবাদ লিংকে প্রবেশ করুন।