মুস্তাফিজুর রহমান: বাংলাদেশ ক্রিকেটের এক অমূল্য সম্পদ
৬ সেপ্টেম্বর ১৯৯৫ সালে সাতক্ষীরা জেলার কালীগঞ্জ উপজেলার তেঁতুলিয়া গ্রামে জন্মগ্রহণকারী মুস্তাফিজুর রহমান বাংলাদেশ ক্রিকেটের অন্যতম সেরা বামহাতি পেসার। তার অসাধারণ বোলিং দক্ষতা ও উইকেট শিকারের ক্ষমতা তাকে বিশ্ব ক্রিকেটে একজন স্বনামধন্য খেলোয়াড় হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছে।
ঘরোয়া ক্রিকেটে আবাহনী লিমিটেড ও খুলনা বিভাগের হয়ে খেলে মুস্তাফিজুর রহমান আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে পা রাখেন। তার অভিষেক হয় ২০১৫ সালে। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে টুয়েন্টি২০ আন্তর্জাতিকে অভিষেকের পরেই তিনি ভারতের বিরুদ্ধে ওয়ানডে অভিষেকে ম্যাচ সেরা নির্বাচিত হন। প্রথম দুই ওয়ানডে ম্যাচে ১১ টি উইকেট নিয়ে তিনি বিশ্বরেকর্ড গড়েন। এই অসাধারণ কীর্তি তার ক্যারিয়ারের এক মাইলফলক।
২০১৫ সালে আইসিসি ওয়ানডে বর্ষসেরা দলে অন্তর্ভুক্ত হয়ে তিনি প্রথম বাংলাদেশী ক্রিকেটার হিসেবে এই সম্মান অর্জন করেন। ২০১৮ সালেও তিনি আইসিসির সেরা একাদশে স্থান পান। ২০১৯ ক্রিকেট বিশ্বকাপে বাংলাদেশের হয়ে দারুণ প্রদর্শন করে তিনি বাংলাদেশের জন্য সর্বোচ্চ উইকেট নেওয়ার রেকর্ড গড়েন। ৫৪ ম্যাচে ১০০ উইকেট শিকার করে তিনি বিশ্বের দ্রুততম বোলারদের মধ্যে স্থান লাভ করেন।
মুস্তাফিজুর রহমানের বোলিং শৈলী অত্যন্ত বৈচিত্র্যময়। তার সাবলীল ব্যাক-অফ-দ্য-লেন্থ বোলিং, কটার, স্লোয়ার বল, এবং বিভ্রান্তিকর লাইন এবং লেন্থের বোলিং তাকে অতুলনীয় বোলার হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছে। তার শান্ত ও নিশ্চিত ব্যক্তিত্ব ও দলের প্রতি আন্তরিকতা তাকে আরও বিশেষ করে তোলে।
তিনি আইপিএল ও ইংল্যান্ডের ন্যাটওয়েস্ট টি২০-তেও খেলেছেন। ২০১৯ সালের ২২ মার্চ তিনি বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন।
নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চ মসজিদ হামলায় অল্পের জন্য প্রাণে বঁচে যান মুস্তাফিজুর রহমান। এই ঘটনা তার জীবনে গভীর ছাপ ছাড়িয়েছে। একজন ক্রিকেটার হিসেবে তার অবদান অসীম, এবং তিনি বাংলাদেশ ক্রিকেটের ইতিহাসে সর্বদাই স্মরণীয় থাকবেন।