ডা. মোহাম্মদ মুরাদ হাসান: একজন বিতর্কিত রাজনীতিবিদ ও চিকিৎসক
ডা. মোহাম্মদ মুরাদ হাসান বাংলাদেশের একজন বিতর্কিত রাজনীতিবিদ এবং চিকিৎসক। তিনি দীর্ঘদিন আওয়ামী লীগের সাথে যুক্ত ছিলেন এবং দুই মেয়াদে জামালপুর-৪ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। তিনি স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় এবং তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। তবে, তার রাজনৈতিক জীবন বেশ কয়েকটি বিতর্কের সাথে জড়িত।
১০ অক্টোবর ১৯৭৪ সালে জামালপুরের সরিষাবাড়ী উপজেলার দৌলতপুর গ্রামে জন্মগ্রহণকারী মুরাদ হাসান জামালপুর শহরস্থ কিশলয় আদর্শ বিদ্যা নিকেতন, জামালপুর জিলা স্কুল, নটর ডেম কলেজ এবং ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ থেকে শিক্ষা গ্রহণ করেন। তিনি ‘প্লাস্টিক ও পুনর্গঠনমূলক সার্জারি’ এবং বিকিরণ ক্যান্সারবিজ্ঞানে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে কনসালটেন্ট হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
২০২১ সালের ডিসেম্বরে, এক ফেসবুক লাইভে তিনি বিএনপির তারেক রহমান ও তার কন্যা জাইমা রহমান সম্পর্কে কটূক্তিপূর্ণ মন্তব্য করেন, যার ফলে তিনি তীব্র সমালোচনার মুখে পড়েন। এরপরই চিত্রনায়ক মামনুন হাসান ইমন ও চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহির সাথে তার টেলিফোন কথোপকথন ফাঁস হয়, যা আরও বিতর্কের সৃষ্টি করে। এই কথোপকথনে তিনি মাহিকে অশ্লীল প্রস্তাব এবং ধর্ষণের হুমকি দেন বলে অভিযোগ উঠে। এই ঘটনার পর তাকে প্রতিমন্ত্রী পদ থেকে পদত্যাগ করতে হয়।
২০২২ সালের জানুয়ারিতে, তার স্ত্রী জাহানারা এহসান তার বিরুদ্ধে ধানমন্ডি থানায় নির্যাতনের অভিযোগে জিডি করেন। তবে মুরাদ হাসানের বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
মুরাদ মিয়ার সম্পর্কে আরও তথ্য পাওয়া গেলে আমরা এই লেখাটি আপডেট করব।