আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে মুকুল চোকদারের গ্রেফতার
আশুলিয়ায় ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সময় লাশ পোড়ানোর ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে পুলিশ কনস্টেবল মুকুল চোকদারকে গ্রেফতার দেখিয়ে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। বৃহস্পতিবার (২৬ ডিসেম্বর) চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তুজা মজুমদারের নেতৃত্বে তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল এ আদেশ দিয়েছে। তাকে আগামী ২৬ জানুয়ারি ট্রাইব্যুনালে হাজির করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
ট্রাইব্যুনালের শুনানিতে প্রসিকিউটরদের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম ও প্রসিকিউটর গাজী মোনাওয়ার হুসাইন। তাদের বিবৃতিতে জানা যায়, মুকুল চোকদার দোহার থানায় কর্মরত ছিলেন এবং সেখান থেকেই তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এই ঘটনায় কিশোরগঞ্জ থেকে আরও একজন পুলিশ সদস্য, মালেক নামের একজন এসআই, কে গ্রেফতার করা হয়েছে।
চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম সাংবাদিকদের জানান, ৫ আগস্ট আশুলিয়ায় ছয় তরুণকে গুলি করে হত্যা করা হয় এবং পরে পুলিশ ভ্যানে রেখে লাশগুলো পোড়িয়ে দেওয়া হয়। এই ঘটনার সাথে সরাসরি জড়িত থাকার অভিযোগে দুজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে, যাদের মধ্যে একজন হলেন মুকুল চোকদার।
তাজুল ইসলাম আরও জানান, তদন্তে উঠে এসেছে, সাভার আশুলিয়ায় ঘটনার সময় দায়িত্বরত কর্মকর্তা পলাতক আছেন এবং তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে। তার উপরের কর্মকর্তা, এএসপি ও এসপিসহ অন্যদের গ্রেফতার করা হয়েছে। তিনি আরও জানান, এই ঘটনায় সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছিল এবং তা মাঠপর্যায়ে বাস্তবায়ন করা হয়েছিল।
মঙ্গলবার আশুলিয়ায় মরদেহ পোড়ানোর ঘটনার মামলা আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে নথিভুক্ত হয়। সেদিনই ঢাকা-১৯ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম ও চার পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে ট্রাইব্যুনাল। এ পর্যন্ত দুজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। মুকুল চোকদারের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিকভাবে গ্রেফতার প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে আজ।