মানিকগঞ্জের মর্মান্তিক ঘটনায় ডা. মিতা সরকার: একজন মায়ের ভয়াবহ কর্মকাণ্ড
গত ২৯ সেপ্টেম্বর, মানিকগঞ্জে এক মর্মান্তিক ঘটনায় তীব্র আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে এসেছেন ডা. মিতা সরকার। তিনি তার সাত বছর বয়সী পুত্র রনজয় মন্ডল রম্নশুকে বিষ খাইয়ে হত্যার অভিযোগে গ্রেফতার হয়েছেন। ঘটনার পর তিনিও বিষপান করে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন এবং বর্তমানে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
ঘটনার বিবরণ:
ডা. মিতা সরকার তার সাবেক স্বামী ডা. রঞ্জন কুমার মন্ডলের সাথে দাম্পত্য কলহের পর মানিকগঞ্জ শহরের গঙ্গাধরপট্টি রোডের খান মজলিস টাওয়ারে ভাড়া বাসায় তার ছেলে রনজয়ের সাথে বসবাস করছিলেন। ২৯ সেপ্টেম্বর রাতে তিনি তার ছেলেকে বিষ খাওয়ান এবং নিজেও বিষপান করেন। রনজয় ঘটনাস্থলেই মারা যায়। মিতার অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় তাকে প্রথমে মানিকগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে এবং পরে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
অভিযোগ ও তদন্ত:
নিহত রনজয়ের বাবা ডা. রঞ্জন কুমার মন্ডল তার সাবেক স্ত্রী ডা. মিতা সরকারসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। পুলিশ ঘটনার তদন্ত করছে। মিতার সাবেক স্বামীর বাবা, ডা. রঞ্জিত কুমার মন্ডল অভিযোগ করেছেন যে, ডা. মিতা সরকার ও ডা. অর্ঘ্য চন্দ্র সরকারের মধ্যে পরকিয়া সম্পর্ক ছিল এবং এ কারণেই এই ঘটনা ঘটেছে। নিহত রনজয়ের দাদী শীলা রানী সরকারও অর্ঘ্য চন্দ্র সরকারের জিজ্ঞাসাবাদের দাবি জানিয়েছেন।
জনসাধারণের প্রতিক্রিয়া:
এই মর্মান্তিক ঘটনার পর রনজয়ের সহপাঠী, শিক্ষক ও অভিভাবকরা মানববন্ধন করে আসামীদের ফাঁসির দাবী করেছেন। শাহিন প্রি-কাডেট স্কুলের প্রধান শিক্ষক নাজমা আক্তার, শাহিন স্কুল এন্ড কলেজের প্রিন্সিপাল হাসমত আলী হাসান, এবং ক্লাস শিক্ষক সুসমা বিশ্বাস প্রমুখ এ ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন।
উল্লেখযোগ্য তথ্য:
- ডা. মিতা সরকার একজন চিকিৎসক।
- তিনি ট্রমা সেন্টার নামক একটি বেসরকারি হাসপাতালে কর্মরত ছিলেন বলে জানা গেছে।
- ঘটনাটি ঘটেছে মানিকগঞ্জের গঙ্গাধরপট্টি এলাকার খান মজলিস টাওয়ারে।
- রনজয় শাহিন প্রি-কাডেট স্কুলের নার্সারীতে পড়ত।
- ঘটনার পর পুলিশ মামলা তদন্ত করছে।