মারিউপোল: ইউক্রেনের দক্ষিণ-পূর্বে অবস্থিত একটি গুরুত্বপূর্ণ বন্দরনগরী এবং দোনেৎস্ক অঞ্চলের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর। ১৭৭৮ সালে ক্রিমিয়ার গ্রীক বসতি স্থাপনকারীদের দ্বারা প্রতিষ্ঠিত, এটি ইউক্রেনীয় ও রুশ উভয় সংস্কৃতির সমন্বয়ে গঠিত। ধাতুবিদ্যা, যান্ত্রিক প্রকৌশল, এবং পরিবহন এর অর্থনীতির মূল চালিকাশক্তি। ২০২২ সালের রাশিয়ান আগ্রাসনের আগে এখানে ৪০০,০০০ এর বেশি মানুষ বাস করত। রাশিয়ান আক্রমণের সময় মারিউপোল তীব্র যুদ্ধের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়, যার ফলে শহরটি ব্যাপকভাবে ধ্বংসপ্রাপ্ত হয় এবং হাজার হাজার বেসামরিক মানুষ প্রাণ হারায়। ইউক্রেনীয় সৈন্যদের অ্যাজভস্টাল ইস্পাত কারখানায় তিন মাসের অবরোধের পর মে ২০২২ সালে রাশিয়ান বাহিনী শহরটি দখল করে নেয়। এই ঘটনাটি ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের একটি গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্ত হিসেবে বিবেচিত হয়। যুদ্ধের পর, রাশিয়া মারিউপোল পুনর্নির্মাণের কাজ শুরু করেছে। তবে, ইউক্রেনের দাবি, রাশিয়া ইউক্রেনীয়দের বিতাড়ন করে রুশদের বসতি স্থাপনের মাধ্যমে জনসংখ্যার নৃতাত্বিক পরিবর্তন ঘটাতে চাইছে, যা নৃতাত্বিক নির্মূলের সমান। আইএসডব্লিউ'র মতে, রাশিয়া দীর্ঘমেয়াদী নৃতাত্বিক নির্মূলের পরিকল্পনা করেছে। এই শহরের ঐতিহাসিক গুরুত্ব, রুশ-ইউক্রেন যুদ্ধে এর কৌশলগত গুরুত্ব এবং রাশিয়ান দখলের পর এর পরিস্থিতি সম্পর্কে আরও গবেষণা প্রয়োজন।
মারিউপোল
আপডেট: ৩১ ডিসেম্বর ২০২৪, ৮:০২ এএম
মূল তথ্যাবলী:
- মারিউপোল ইউক্রেনের দোনেৎস্ক অঞ্চলে অবস্থিত একটি গুরুত্বপূর্ণ বন্দরনগরী।
- ১৭৭৮ সালে প্রতিষ্ঠিত, এটি ইউক্রেনীয় ও রুশ সংস্কৃতির সমন্বয়ে গঠিত।
- ২০২২ সালের রাশিয়ান আগ্রাসনের সময় শহরটি ব্যাপকভাবে ধ্বংসপ্রাপ্ত হয়।
- মে ২০২২ সালে রাশিয়ান বাহিনী মারিউপোল দখল করে নেয়।
- রাশিয়ার দখলের পর, মারিউপোলের পুনর্নির্মাণ ও জনসংখ্যার নৃতাত্বিক পরিবর্তনের প্রচেষ্টা চলছে।
একই নামে একাধিক ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান ও স্থান থাকতে পারে। সুনির্দিষ্টভাবে জানতে সংবাদ লিংকে প্রবেশ করুন।
গণমাধ্যমে - মারিউপোল
৩০ ডিসেম্বর ২০২৪
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের বন্দি বিনিময়ের ঘটনার সাথে জড়িত।