মানিক হোসেন নামটি একাধিক ব্যক্তি ও সংস্থার সাথে সম্পৃক্ত। এখানে আমরা দুইজন বিখ্যাত মানিক হোসেনের সংক্ষিপ্ত জীবনী তুলে ধরবো:
১. আবুল হোসেন মোহম্মদ শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক:
এই মানিক হোসেন বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের একজন অবসরপ্রাপ্ত বিচারক। তার কর্মজীবন বিতর্কিত ঘটনাবলীতে পরিপূর্ণ ছিল। তিনি মুন্সিগঞ্জ (বিক্রমপুর) এ জন্মগ্রহণ করেন এবং ১৯৭৮ সালে বাংলাদেশ হাইকোর্টে আইনজীবী হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেন। ১৯৯৬ সালে তিনি ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল নিযুক্ত হন। ২০০১ সালে অতিরিক্ত বিচারক হিসেবে হাইকোর্টে নিয়োগ পান, যা পরবর্তীতে বিএনপি সরকার অনুমোদন করেনি। ২০০৯ সালে আবার হাইকোর্টে পুনর্বহাল হন এবং পরে পূর্ণ বিচারক হিসেবে নিয়োগ পান। ২০১২ সালে জাতীয় সংসদ তাকে সংবিধান লঙ্ঘনের অভিযোগে নিন্দা জানায়। তিনি ২০১৩ সালে আপিল বিভাগে পদোন্নতি পান। অবসর গ্রহণের পরও তিনি বিতর্কিত রায় জমা দেন এবং টিভিতে বিতর্কিত মন্তব্য করেন। অবসরের পর তিনি ৬৫টি রায় জমা দেন, যা পরবর্তীতে অসাংবিধানিক বলে ঘোষণা করা হয়। লন্ডনে শারীরিক নির্যাতনের শিকার হন এবং প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার সমালোচনার জন্য মানহানির মামলায় জড়িত ছিলেন। ২০২১ সালে ইভ্যালি পরিচালনার দায়িত্ব পান এবং ২০২২ সালে জুবিলি ব্যাংকের লিকুইডেটর হিসেবে নিযুক্ত হন। ২০২৪ সালে তিনি চ্যানেল আই এর 'টু দ্য পয়েন্ট' অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে অংশগ্রহণ করে বিতর্কিত মন্তব্য করেন এবং সীমান্ত অতিক্রমের চেষ্টার সময় বিজিবিতে আটক হন।
২. তফাজ্জল হোসেন (মানিক মিয়া):
এই মানিক মিয়া একজন পাকিস্তানী বাঙালি সাংবাদিক ও রাজনীতিক ছিলেন। তিনি দৈনিক ইত্তেফাকের প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক ছিলেন। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঘনিষ্ঠ সহযোগী ছিলেন এবং ছয় দফা আন্দোলনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। পিরোজপুর জেলায় ১৯১১ সালে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ১৯৬৯ সালে রাওয়ালপিন্ডিতে মৃত্যুবরণ করেন এবং ঢাকার আজিমপুর কবরস্থানে সমাহিত হন। ঢাকার মানিক মিয়া এভিনিউ তার নামানুসারে নামকরণ করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, আরও মানিক হোসেন থাকতে পারেন, যাদের তথ্য বর্তমানে আমাদের কাছে নেই। অতিরিক্ত তথ্য পাওয়ার সাথে সাথে আমরা এই তথ্য আপডেট করব।