মাথাব্যথা (Headache) একটি অত্যন্ত সাধারণ সমস্যা, যা প্রায় প্রত্যেক ব্যক্তিই তাদের জীবনে অন্তত একবার অনুভব করে। এটি একটি রোগ নয়, বরং বিভিন্ন রোগের উপসর্গ হতে পারে। মাথাব্যথার অনেক প্রকারভেদ রয়েছে, যেমন মাইগ্রেন, টেনশন-টাইপ মাথাব্যথা, ক্লাস্টার মাথাব্যথা ইত্যাদি। ঘন ঘন মাথাব্যথা দৈনন্দিন জীবনে, পারিবারিক ও কর্মজীবনে বিরক্তিকর হতে পারে এবং ডিপ্রেশনের ঝুঁকি বাড়াতে পারে।
মাথাব্যথার অনেক কারণ থাকতে পারে, যেমন ক্লান্তি, ঘুমের অভাব, মানসিক চাপ, ওষুধের প্রতিক্রিয়া, সর্দি, সাইনাসাইটিস, মাথার আঘাত, দাঁতের সমস্যা, খুব ঠান্ডা পানীয় বা খাবার খাওয়া ইত্যাদি। রোগ নির্ণয়ের সুবিধার্থে মাথাব্যথাকে প্রাথমিক (মাইগ্রেন, টেনশন মাথাব্যথা) এবং দ্বিতীয়ক (মাথার আঘাত, টিউমার, ইনফেকশন) এই দুটি ভাগে ভাগ করা হয়।
মাথাব্যথার চিকিৎসা এর কারণের উপর নির্ভর করে, তবে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই ব্যথানাশক ওষুধ ব্যবহার করা হয়। জরিপ অনুযায়ী, প্রাপ্তবয়স্কদের প্রায় অর্ধেক কোনো এক বছরে মাথাব্যথায় ভোগেন, এর মধ্যে টেনশন-টাইপ মাথাব্যথা সবচেয়ে বেশি (প্রায় ১.৬ বিলিয়ন), এবং মাইগ্রেনের অবস্থান দ্বিতীয় (প্রায় ৮৪৮ মিলিয়ন)।
মাথাব্যথার প্রকারভেদ, লক্ষণ, চিকিৎসা এবং প্রতিরোধ সম্পর্কে বিস্তারিত জানার জন্য, অনুগ্রহ করে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের সাথে পরামর্শ করুন। আরও তথ্যের জন্য আমরা আপনাকে আপডেট করব।