মস্কো, রাশিয়া

আপডেট: ৩ জানুয়ারী ২০২৫, ২:১৬ পিএম
নামান্তরে:
মস্কো রাশিয়া
মস্কো, রাশিয়া

মস্কো, রাশিয়ার রাজধানী ও বৃহত্তম শহর, একটি ঐতিহাসিক, সাংস্কৃতিক ও অর্থনৈতিক কেন্দ্র। মস্কোভা নদীর তীরে অবস্থিত এই মহানগরীর ইতিহাস ৮ শতাব্দীরও বেশি প্রাচীন। ১১৪৭ সালে ইউরি ডলগোরুকি কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত মস্কো ধীরে ধীরে একটি গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্রে পরিণত হয়। মস্কোর মহাদিউকরাজ্য বিবর্তিত হয়ে রাশিয়ার জারশাসিত রাজ্যে পরিণত হলে, মস্কো এর রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক কেন্দ্রবিন্দু হিসেবে ভূমিকা পালন করে। পরবর্তীতে রাজধানী সেন্ট পিটার্সবার্গে স্থানান্তরিত হলেও ২০ শতকে রুশ বিপ্লবের পরে মস্কো আবার রাজধানীর মর্যাদা লাভ করে। সোভিয়েত ইউনিয়ন পতনের পর, মস্কো নবপ্রতিষ্ঠিত রাশিয়ার রাজধানী হিসেবে থেকে যায়।

মস্কো ইউরোপের বৃহত্তম নগরী, বৃহত্তর পৌর এলাকা, এবং মহানগর এলাকা। এটি বিশ্বের সবচেয়ে উত্তরে অবস্থিত অতিমহানগরীগুলির মধ্যে একটি। বর্তমানে, মস্কো পূর্ব ইউরোপের রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, সাংস্কৃতিক এবং বৈজ্ঞানিক কেন্দ্র। এর স্থূল অভ্যন্তরীণ উৎপাদন বিশ্বের অন্যতম বৃহত্তম, এবং জীবনযাপনের খরচও অনেক বেশি। মস্কোতে ইউরোপের সর্বোচ্চ এবং বিশ্বের তৃতীয় সর্বোচ্চ সংখ্যক শত কোটিপতি বাস করে।

মস্কোর ক্রেমলিন, লাল চত্বর, এবং সাধু বাসিলের মহাগির্জা শহরের গুরুত্বপূর্ণ ঐতিহাসিক স্থান। শহরটিতে বহু জাদুঘর, বিশ্ববিদ্যালয়, রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠান এবং থিয়েটার রয়েছে। এছাড়াও এখানে ইউনেস্কো বিশ্ব ঐতিহ্যবাহী স্থানও অবস্থিত। মস্কোতে একটি ব্যাপক পরিবহন ব্যবস্থা রয়েছে, যার মধ্যে চারটি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর, নয়টি রেল স্টেশন, এবং একটি বৃহৎ পাতাল রেল ব্যবস্থা অন্তর্ভুক্ত। মস্কো মেট্রো ইউরোপের ব্যস্ততম পাতাল রেল ব্যবস্থা। মস্কো ১৯৮০ সালের গ্রীষ্মকালীন অলিম্পিক এবং ২০১৮ সালের ফিফা বিশ্বকাপের আয়োজক ছিল।

মূল তথ্যাবলী:

  • মস্কো রাশিয়ার রাজধানী ও বৃহত্তম শহর
  • মস্কোভা নদীর তীরে অবস্থিত
  • ৮ শতাব্দীরও বেশি ইতিহাস
  • রাষ্ট্রীয়, অর্থনৈতিক, সাংস্কৃতিক ও বৈজ্ঞানিক কেন্দ্র
  • ইউরোপের বৃহত্তম নগরী (আয়তন ও জনসংখ্যার দিক থেকে)
  • বিখ্যাত ঐতিহাসিক স্থান: ক্রেমলিন, লাল চত্বর, সাধু বাসিলের গির্জা
  • ১৯৮০ অলিম্পিক এবং ২০১৮ ফিফা বিশ্বকাপের আয়োজক

একই নামে একাধিক ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান ও স্থান থাকতে পারে। সুনির্দিষ্টভাবে জানতে সংবাদ লিংকে প্রবেশ করুন।