ভোলাগঞ্জ: সিলেটের মনোমুগ্ধকর রত্ন
সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার এক অপূর্ব স্থান হলো ভোলাগঞ্জ। ঢালা নদীর তীরে অবস্থিত এই স্থানটি তার মনোমুগ্ধকর প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের জন্য বিখ্যাত। এটি কেবলমাত্র দর্শনীয় স্থান নয়, বরং দেশের সর্ববৃহৎ পাথর কোয়ারির অঞ্চলও বলে পরিচিত। সিলেট শহর থেকে মাত্র ৩৩ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত ভোলাগঞ্জে ১১ কিলোমিটার দীর্ঘ ভোলাগঞ্জ রোপওয়ে বা রজ্জুপথ ছাতক পর্যন্ত বিস্তৃত।
ধলাই নদী, পাহাড়, এবং রোপওয়ে- এই তিনটি উপাদান মিলে ভোলাগঞ্জকে করে তুলেছে এক অসাধারণ পর্যটন কেন্দ্র। একশ একর আয়তনের এই রোপওয়ে বিশেষ আকর্ষণীয় স্থানে পরিণত হয়েছে। এটি একসময় ভারতের আসাম প্রদেশের রাজধানী শিলং যাতায়াতের পথ হিসেবে ব্যবহৃত হতো।
ভোলাগঞ্জের অন্যতম আকর্ষণ হলো বৃহৎ পাথর কোয়ারি। এই কোয়ারি থেকে পাথরের সরবরাহ দেশের বিভিন্ন স্থানে হয়। পাহাড়ি দৃশ্য, নদীর সৌন্দর্য, এবং রোপওয়ে থেকে প্রকৃতির অপূর্ব দৃশ্য উপভোগ করার জন্য প্রতিদিনই অনেক পর্যটক ভিড় জমান।
বর্ষাকালে চেরাপুঞ্জির বৃষ্টির পানি ধলাই নদীতে পাহাড়ী ঢল সৃষ্টি করে। গ্রীষ্মকালে নদী মরা দেখালেও বর্ষায় এটি ফুলে ফেঁপে উঠে। নদীর মনোমুগ্ধকর রূপ, সবুজ পাহাড়, সাদা পাথর, এবং ঝর্ণার পানি মিলে ভোলাগঞ্জকে করে তুলেছে একটি পারিবেশিক রত্ন।
ভোলাগঞ্জে একটি ল্যান্ড কাস্টমস স্টেশন রয়েছে, যা আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম পরিচালনা করে। ভারত সীমান্তের জিরো লাইনে অবস্থিত এই স্টেশন থেকেও অপরূপ সৌন্দর্য দেখা যায়। ভোলাগঞ্জ তাই কেবলমাত্র প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের অধিকারী নয়, বরং একটি গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্যিক কেন্দ্র ও বলে মনে করা যায়।