ব্র্যাক ব্যাংক লিমিটেড: বাংলাদেশের অর্থনীতিতে একটি গুরুত্বপূর্ণ অবদান
ব্র্যাক ব্যাংক লিমিটেড বাংলাদেশের একটি অগ্রণী বেসরকারি বাণিজ্যিক ব্যাংক, যা ২০০১ সালের ৪ জুলাই ফজলে হাসান আবেদের নেতৃত্বে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। এটি ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের (এসএমই) উন্নয়নে বিশেষ গুরুত্ব প্রদান করে এবং দেশের অর্থনৈতিক প্রগতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। ব্যাংকটি ২০০৭ সালে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে তালিকাভুক্ত হয়।
ব্র্যাক ব্যাংকের প্রধান লক্ষ্য হলো দেশের অর্থনৈতিক বিকাশে অবদান রাখা, ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তাদের কাছে ঋণ সহায়তা প্রদান করা এবং আর্থিক সামাজিক সম্প্রসারণ ঘটানো। বর্তমানে ব্যাংকটির ১৯৬টি শাখা, ৫০টি উপ-শাখা, ৪৫৭টি এসএমই ইউনিট অফিস, ১৮০০টি রেমিট্যান্স ডেলিভারি পয়েন্ট, ৪৪৭টি এটিএম বুথ এবং ১০৯৪টি এজেন্ট আউটলেট রয়েছে (সেপ্টেম্বর, ২০২২ পর্যন্ত)।
ব্যাংকটির দর্শন ‘৩P’ (People, Planet, Profit) -এর উপর ভিত্তি করে গঠিত। এটি জনগণ ও পরিবেশের সুরক্ষার প্রতি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ এবং লাভের পাশাপাশি সমাজের উন্নয়নে অবদান রাখে। ব্র্যাক ব্যাংক বিভিন্ন সামাজিক উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডে নিয়মিত অংশগ্রহণ করে। ব্যাংকটি আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে বিভিন্ন আর্থিক সেবা প্রদান করে, যার মধ্যে রয়েছে সঞ্চয় স্কিম, ব্যক্তিগত ঋণ, কর্পোরেট ব্যাংকিং, এসএমই ব্যাংকিং, এটিএম ও সিডিএম সার্ভিস, প্রবাসী ব্যাংকিং এবং ইন্টারনেট ব্যাংকিং।
ব্র্যাক ব্যাংক পুঁজিবাজারেও সক্রিয় ভূমিকা পালন করে। ব্যাংকটির ইকুইটি পার্টনারস সিকিউরিটিজ লিমিটেড, ব্র্যাক ইপিএল ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড এবং ব্র্যাক ইপিএল ব্রোকারেজ লিমিটেড নামে কয়েকটি সহযোগী প্রতিষ্ঠান রয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক কোম্পানিগুলোর সাথে যৌথ উদ্যোগে ব্যাংকটি পেমেন্ট সার্ভিস এবং রেটিং এজেন্সি সেবা প্রদান করে।
ব্র্যাক ব্যাংক ২০০৯ সালে ‘ডিএইচএল-ডেইলি স্টার বেস্ট বিজনেস অ্যাওয়ার্ড’ এবং ‘সার্টিফিকেট অফ মেরিট’ লাভ করে। ব্যাংকটির আমানত ও ঋণের পরিমাণ ব্যাংকিং খাতের উল্লেখযোগ্য অংশ। ব্র্যাক ব্যাংক বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে অবদানের জন্য পরিচিত।