ব্যাসপুর

আপডেট: ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ৮:০৭ পিএম

ব্যাসপুর নামটি দুটি ভিন্ন স্থান ও প্রেক্ষাপটের সাথে সম্পর্কিত। একটি হল মুর্শিদাবাদ জেলার কাশিমবাজারের ব্যাসপুর, যেখানে একটি প্রাচীন ও বিখ্যাত শিব মন্দির অবস্থিত; অন্যটি হল গোপালগঞ্জ জেলার কাশিয়ানী উপজেলার ব্যাসপুর, যেখানে একটি রেলওয়ে স্টেশন অবস্থিত।

মুর্শিদাবাদের ব্যাসপুর (শিব মন্দির):

মুর্শিদাবাদের কাশিমবাজারের ব্যাসপুরে অবস্থিত শিব মন্দিরটি ১৮১১ সালে পণ্ডিত রামকেশব দেবশর্মন দ্বারা নির্মিত। এই মন্দিরের স্থাপত্য শৈলী অত্যন্ত মনোমুগ্ধকর এবং অনন্য। মন্দিরটির উচ্চতা ৫৭ ফুট এবং এর গর্ভগৃহে ৫ ফুট উঁচু একটি কষ্টিপাথরের শিবলিঙ্গ, যার নাম ব্যাস দেব, অবস্থিত। মন্দিরটিতে বিভিন্ন দেব-দেবীর, প্রাণীর এবং ধর্মীয় চিত্রকর্ম খোদাই করা আছে। এই মন্দিরটি বরানগরের রাণী ভবানীর তৈরি মন্দিরের থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে তৈরি হয়েছে বলে অনেকে মনে করেন। সময়ের সাথে সাথে জরাজীর্ণ হয়ে পড়লে ১৯১৮ সালে মুর্শিদাবাদের লালগোলার মহারাজা যোগীন্দ্র নারায়ণ রায় বাহাদুর এবং ১৯৯৫ সালে মহারাষ্ট্রের অমিত কুমার ভোঁসলে এর সংস্কার করেন। রায়বাহাদুর বৈকুণ্ঠ নাথ সেন মন্দির সংস্কারের তত্ত্বাবধানে ছিলেন। মন্দিরে প্রতিদিন দুবার পূজা হয় এবং শিবরাত্রিতে ৭ দিনের মেলা বসে।

গোপালগঞ্জের ব্যাসপুর (রেলওয়ে স্টেশন):

গোপালগঞ্জ জেলার কাশিয়ানী উপজেলায় অবস্থিত ব্যাসপুর রেলওয়ে স্টেশনটি ১৯৩২ সালে কুষ্টিয়া-গোয়ালন্দ ঘাট লাইনের একটি শাখা হিসেবে কালুখালী থেকে ভাটিয়াপাড়া ঘাট পর্যন্ত রেলপথ নির্মাণের সময় তৈরি হয়। এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ যোগাযোগ কেন্দ্র।

মূল তথ্যাবলী:

  • মুর্শিদাবাদের ব্যাসপুরে একটি প্রাচীন শিব মন্দির অবস্থিত যা ১৮১১ সালে নির্মিত।
  • গোপালগঞ্জের ব্যাসপুরে একটি রেলওয়ে স্টেশন অবস্থিত যা ১৯৩২ সালে নির্মিত।
  • মুর্শিদাবাদের ব্যাসপুর মন্দিরটি বেশ কয়েকবার সংস্কার করা হয়েছে।
  • উভয় ব্যাসপুরই তাদের নিজ নিজ অঞ্চলে গুরুত্বপূর্ণ স্থান।

একই নামে একাধিক ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান ও স্থান থাকতে পারে। সুনির্দিষ্টভাবে জানতে সংবাদ লিংকে প্রবেশ করুন।

গণমাধ্যমে - ব্যাসপুর

গোপালগঞ্জের কাশিয়ানীর ব্যাসপুর-জয়নগর আঞ্চলিক সড়কে একটি সড়ক দুর্ঘটনা ঘটেছে।