বোরো ধান

বোরো ধান বাংলাদেশের একটি গুরুত্বপূর্ণ ধানের জাত, যা রবি মৌসুমে চাষ হয়। আমন মৌসুমের পর কার্তিক মাস (অক্টোবর-নভেম্বর) থেকে রোপণ শুরু হয়ে বৈশাখ-জ্যৈষ্ঠ (এপ্রিল-জুন) মাসে কাটা হয়। বসন্তকালে প্রধান ফলন পাওয়া যায় বলে একে বাসন্তিক ধানও বলা হয়। ভারতে একে বৈশাখী ধান বলা হয়। বোরো ধান সেচের উপর অত্যন্ত নির্ভরশীল, কারণ এই সময়ে বৃষ্টিপাত কম হয়। বেলে মাটিতে এর ফলন কম হয়। জাত ও অঞ্চলভেদে বোরো ধানের ফলন ২০-২৮ মণ/বিঘা (৪.৫-৮ টন/হেক্টর) পর্যন্ত হতে পারে। বোরো ধানের উচ্চ ফলনশীলতা আউশ ও আমন ধানের তুলনায় বেশি, কারণ এই সময়ে আকাশে মেঘলা কম এবং সূর্যালোক প্রচুর থাকে। বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট বোরো ধানের উন্নত জাত উদ্ভাবনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে, যা দেশের চাল উৎপাদনে ব্যাপক অবদান রাখছে। বোরো ধানের চাষাবাদে সঠিক সার ব্যবহার, সেচ ব্যবস্থাপনা, রোগ-পোকামাকড় নিয়ন্ত্রণ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বোরো ধান চাষাবাদে উন্নত জাতের ব্যবহার, সুষম সার ব্যবহার, পোকা-রোগ নিয়ন্ত্রণ, আগাছা নিয়ন্ত্রণ ও যথাযথ সেচ ব্যবস্থাপনা মাধ্যমে ফলন বৃদ্ধি করা সম্ভব।

মূল তথ্যাবলী:

  • বোরো ধান বাংলাদেশের একটি প্রধান রবিশস্য ধান
  • আমনের পর কার্তিক থেকে বৈশাখ-জ্যৈষ্ঠ মাসে চাষ হয়
  • সেচ নির্ভরশীল, বৃষ্টিপাত কম হওয়ার কারণে
  • ফলন ২০-২৮ মণ/বিঘা (৪.৫-৮ টন/হেক্টর)
  • বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট উন্নত জাত উদ্ভাবনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে

গণমাধ্যমে - বোরো ধান

২৫ ডিসেম্বর ২০২৪

বোরো ধান চাষে বিলম্ব এবং ফসল ক্ষতির আশঙ্কা বৃদ্ধি পেয়েছে।