বোমা: ধ্বংসের অস্ত্র, মৃত্যুর বার্তা
বোমা, শব্দটিই যেন ধ্বংসের প্রতিচ্ছবি বহন করে। এটি এক ধরণের বিস্ফোরক অস্ত্র যা রাসায়নিক বিক্রিয়ার মাধ্যমে প্রচণ্ড শক্তি নির্গত করে, জানমালের অপূরণীয় ক্ষতি সাধন করে। কয়েক শতাব্দী ধরে মানব সভ্যতার ইতিহাসে বোমার ভয়াবহ ব্যবহারের নজির রয়েছে, যুদ্ধক্ষেত্র থেকে শুরু করে সন্ত্রাসবাদী হামলা পর্যন্ত।
বোমার উৎপত্তি:
গ্রীক শব্দ ‘বোম্বাস’ (βόμβος) থেকে বোমা শব্দের উৎপত্তি। প্রাথমিক বোমাগুলি সাধারণত জ্বালানী ও বিস্ফোরক দ্রব্যের মিশ্রণে তৈরি হত। কিন্তু সময়ের সাথে সাথে বোমার প্রযুক্তি উন্নত হয়েছে, আধুনিক যুগে পারমাণবিক ও হাইড্রোজেন বোমা যে ধ্বংসাত্মক ক্ষমতা ধারণ করে তা অভাবনীয়।
বোমার ব্যবহার:
সামরিক বাহিনী ব্যাপক পরিসরে বোমা ব্যবহার করে যুদ্ধবিগ্রহ চালানোর জন্য। অন্যদিকে সন্ত্রাসবাদীরা আত্মঘাতী বোমা হামলা চালিয়ে ভয় ও আতঙ্কের বাতাবরণ সৃষ্টি করে। আবার, শান্তিপূর্ণ উদ্দেশ্যে খননকার্যে ও অন্যান্য নিয়ন্ত্রিত কার্যক্রমে বোমা ব্যবহার করা হয়।
বোমা বিস্ফোরণের প্রভাব:
বোমা বিস্ফোরণের প্রভাব বিধ্বংসী। প্রচণ্ড কম্পন, উচ্চচাপ, খণ্ডবিখণ্ড উৎপাদন ও উচ্চ তাপমাত্রা মানুষের শারীরিক ও মানসিক ক্ষতির কারণ হয়। বিস্ফোরণের সময় উৎপন্ন শকওয়েভ মানবদেহের অভ্যন্তরীণ অঙ্গপ্রত্যঙ্গে গুরুতর ক্ষতি সাধন করতে পারে। অনেক ক্ষেত্রে মৃত্যু ও স্থায়ী অক্ষমতা ঘটে।
উল্লেখযোগ্য ঘটনা:
২০০৪ সালের ২১ আগস্ট ঢাকার এক জনসভায় শেখ হাসিনার উপর গোলাগুলি ও গ্রেনেড হামলা ঘটেছিল। এই হামলায় আওয়ামী লীগের অনেক নেতা কর্মী নিহত হন ও শেখ হাসিনা ও অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচে যান।
উপসংহার:
বোমা মানব সভ্যতার জন্য একটি গুরুতর হুমকি। আন্তর্জাতিক সহযোগিতা ও কঠোর নিয়ন্ত্রণ এবং শান্তিপূর্ণ সমাধানের মাধ্যমে এই ধ্বংসাত্মক অস্ত্রের ব্যবহার রোধ করা জরুরী।