বৈকুণ্ঠপুর

আপডেট: ৩ জানুয়ারী ২০২৫, ১১:১৩ এএম

বৈকুণ্ঠপুর নামটি দুটি ভিন্ন স্থানের সাথে সম্পর্কিত, যার ফলে কিছুটা বিভ্রান্তি দেখা দিতে পারে। একটি ছত্তিসগড়ে এবং অন্যটি পশ্চিমবঙ্গে অবস্থিত।

ছত্তিসগড়ের বৈকুণ্ঠপুর:

ছত্তিসগড় রাজ্যের কোরিয়া জেলায় অবস্থিত বৈকুণ্ঠপুর একটি শহর। এর অক্ষাংশ ও দ্রাঘিমাংশ ২৩°১৫′ উত্তর ৮২°৩৩′ পূর্ব। সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে এর গড় উচ্চতা ৫২৯ মিটার (১৭৩৫ ফুট)। ২০০১ সালের আদমশুমারি অনুযায়ী, শহরটির জনসংখ্যা ছিল ১০,০৭৬ জন, যার মধ্যে পুরুষ ৫৪% এবং নারী ৪৬%। সাক্ষরতার হার ৭৮%, পুরুষদের ৮৩% এবং নারীদের ৭২%। জনসংখ্যার ১৩% ছিল ৬ বছর বা তার কম বয়সী।

পশ্চিমবঙ্গের বৈকুণ্ঠপুর:

পশ্চিমবঙ্গের জলপাইগুড়ি ও দার্জিলিং জেলার সীমান্তবর্তী অঞ্চলে অবস্থিত বৈকুণ্ঠপুর বন এলাকা ঐতিহাসিক ও প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের জন্য পরিচিত। এই বন এলাকা তিস্তা ও মহানন্দা নদীর মধ্যবর্তী অঞ্চলে অবস্থিত। এখানে বুনো হাতি, চিতাবাঘ সহ বিভিন্ন প্রজাতির প্রাণী ও উদ্ভিদ দেখা যায়। বৈকুণ্ঠপুর বনের রাস্তা সম্প্রতি পর্যটকদের জন্য উন্মুক্ত করা হয়েছে। এই বন এলাকায় সালুগাড়া হাটের সাথে যোগাযোগের জন্য একটি পথ আছে, যা আদিবাসী সম্প্রদায় ব্যবহার করে থাকে। ঐতিহাসিকভাবে, বৈকুণ্ঠপুর বন রাজকুমারদের আশ্রয়স্থল ছিল। পৌরাণিক কাহিনী অনুযায়ী, ভগবান শ্রীকৃষ্ণ এই বনে আশ্রয় নিয়েছিলেন বলে কথিত আছে। জলপাইগুড়ির বৈকুণ্ঠপুর রাজবাড়িতে ৫০০ বছরেরও বেশি সময় ধরে মনসা পূজার আয়োজন করা হয়, যা অষ্টমূর্তি পূজার জন্য বিশেষ। এই পুজোর সাথে উত্তরবঙ্গের প্রাচীন বিষহরির গান ও মেলা যুক্ত।

উল্লেখ্য, প্রদত্ত তথ্যের উপর ভিত্তি করে পূর্ণাঙ্গ লেখা তৈরী করা সম্ভব হয়নি। অতিরিক্ত তথ্য পাওয়ার পর আমরা লেখাটি আপডেট করব।

মূল তথ্যাবলী:

  • ছত্তিসগড়ের বৈকুণ্ঠপুর একটি শহর, যার জনসংখ্যা ২০০১ সালে ছিল ১০,০৭৬ জন।
  • পশ্চিমবঙ্গের বৈকুণ্ঠপুর বন এলাকা ঐতিহাসিক ও প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের জন্য পরিচিত।
  • জলপাইগুড়ির বৈকুণ্ঠপুর রাজবাড়িতে ৫০০ বছরেরও বেশি সময় ধরে মনসা পূজা হয়ে আসছে।
  • বৈকুণ্ঠপুর বন এলাকায় বুনো হাতি, চিতাবাঘ সহ বিভিন্ন প্রাণী ও উদ্ভিদ দেখা যায়।

একই নামে একাধিক ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান ও স্থান থাকতে পারে। সুনির্দিষ্টভাবে জানতে সংবাদ লিংকে প্রবেশ করুন।