বিশিষ্ট কবি, লেখক ও গল্পকার বিল্লাল বিন কাশেমের জন্ম ১৯৮৩ সালের ৩১শে ডিসেম্বর যশোর জেলার কেশবপুর উপজেলার মঙ্গলকোট গ্রামে। তার পৈত্রিক বাড়ি নারায়ণগঞ্জ জেলার সোনারগাঁও উপজেলার কাজিরগাঁও গ্রামে। পিতা বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ আবুল কাশেম এবং মাতা গুলশান আরা বেগম (লিলি)। মঙ্গলকোট গোলদার পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, কেশবপুর পাইলট স্কুল, কেশবপুর সরকারি কলেজ এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগ থেকে তিনি স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন। এ পর্যন্ত তাঁর প্রায় ২০ টি বই প্রকাশিত হয়েছে। তিনি দীর্ঘ সময় ধরে সাংবাদিকতা করেছেন। দৈনিক ইত্তেফাক, আজকের কাগজ, দেশের প্রথম রেডিও স্টেশন রেডিও টুডে এফএম ৮৯.৬ সহ বিভিন্ন গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠানে কাজ করেছেন। তিনি 'তোফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া' গবেষণা প্রকল্পের একজন গবেষক। তার মুক্তিযোদ্ধা পিতা বাংলাদেশ এয়ারফোর্সে কর্মরত ছিলেন কুর্মিটোলা বেস এবং যশোর ক্যান্টনমেন্টের মতিউর ঘাঁটিতে। অল্প বয়সে পিতার মৃত্যুর পর সংগ্রামী মায়ের সংস্পর্শে বেড়ে ওঠা এই লেখক জীবনের কঠিন বাস্তবতায় লেখালেখি করেন নিজের আনন্দের অনুভূতি প্রকাশ করতে। তিনি পড়তে ও লেখতে ভালোবাসেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগে পড়াশোনা তাঁর লেখালেখির পূর্ণতা এনে দেয়। বিশ্ববিদ্যালয় জীবনেই তিনি সাংবাদিকতায় জড়িত হন এবং সাপ্তাহিক রোববার, আজকের কাগজ এবং দৈনিক ইত্তেফাক-এ কাজ করেন। এক দশক কূটনৈতিক প্রতিবেদক হিসেবে কাজ করেছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ে সাংবাদিকতা পড়িয়েছেন। পেশা থেকে সরে আসার পরও লেখালেখি অব্যাহত রাখেন। কবিতা, কলাম, গল্প, উপন্যাস সহ বিভিন্ন বিষয়ে লেখালেখি করেন। সম্প্রতি একুশে বইমেলায় তার পাঁচটি বই প্রকাশিত হয়েছে: 'অনুরণন' (কাব্যগ্রন্থ), 'সমাজ-স্বদেশ ও বিশ্ব পরিক্রমা' (প্রবন্ধ ও উপসম্পাদকীয় সংকলন), 'আলো-আঁধার' (ছোটগল্পের সংকলন), 'দূরে কোথাও' (উপন্যাস), এবং 'জয়তী তারিখ অভিধান' (বিশেষ দিবস ও গুরুত্বপূর্ণ দিন নিয়ে লেখা)।
বিল্লাল বিন কাশেম
আপডেট: ৬ জানুয়ারী ২০২৫, ৭:১৩ এএম
মূল তথ্যাবলী:
- ১৯৮৩ সালে যশোরে জন্ম
- ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতায় স্নাতকোত্তর
- প্রায় ২০ টি বই প্রকাশিত
- দীর্ঘদিন সাংবাদিকতা
- কবি, লেখক, গল্পকার, উপন্যাসিক
একই নামে একাধিক ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান ও স্থান থাকতে পারে। সুনির্দিষ্টভাবে জানতে সংবাদ লিংকে প্রবেশ করুন।