বিজিএমইএ

বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতি (বিজিএমইএ): বাংলাদেশের তৈরি পোশাক শিল্পের অগ্রদূত

১৯৮৩ সালে মাত্র ১২টি সদস্য প্রতিষ্ঠান নিয়ে যাত্রা শুরু করা বিজিএমইএ আজ দাঁড়িয়েছে ৪৫০০ এর অধিক সদস্য প্রতিষ্ঠান নিয়ে। এই সংগঠনটি বাংলাদেশের তৈরি পোশাক শিল্পের প্রতিনিধিত্ব করে এবং দেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। বিজিএমইএর প্রধান কার্যক্রমের মধ্যে রয়েছে সদস্যদের জন্য বিভিন্ন বস্ত্রমেলায় অংশগ্রহণের ব্যবস্থা করা, বিদেশি ক্রেতা ও ব্যবসায়িক সংগঠনগুলির সাথে যোগাযোগ রক্ষা করা, শিল্প সংক্রান্ত তথ্য সরবরাহ করা এবং সদস্যদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা। অগ্নিদুর্ঘটনা প্রতিরোধে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয় বিজিএমইএ কর্তৃক।

১৯৯৯ সালে বিজিএমইএ ইনস্টিটিউট অফ ফ্যাশন অ্যান্ড টেকনোলজি প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে দক্ষ জনশক্তি উন্নয়নে উল্লেখযোগ্য অবদান রেখেছে এই সংগঠনটি। ২০০১ সালে এই ইনস্টিটিউট জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে যুক্ত হয়। বিজিএমইএ একটি দুই বছর মেয়াদী ৩৫ সদস্য বিশিষ্ট পরিচালনা পর্ষদ দ্বারা পরিচালিত হয়, যেখানে একজন সভাপতি ও ৭ জন সহ-সভাপতি থাকে। বর্তমান সভাপতি হলেন ফারুক হাসান।

বিজিএমইএর ভূমিকা বাংলাদেশের তৈরি পোশাক শিল্পের বিকাশে অপরিসীম। দেশের রপ্তানি আয়ের এক বিরাট অংশের জন্য এটি দায়ী। বিশ্ববাজারে বাংলাদেশের পোশাকের মান উন্নয়ন ও প্রতিযোগিতামূলক ক্ষমতা বৃদ্ধিতে বিজিএমইএর অবদান অসামান্য। তবে, শ্রমিকদের অধিকার এবং কারখানার নিরাপত্তা সংক্রান্ত বিভিন্ন সমস্যা সমাধানেও সংগঠনটিকে আরও সক্রিয় ভূমিকা পালন করার আহ্বান রয়েছে।

মূল তথ্যাবলী:

  • ১৯৮৩ সালে প্রতিষ্ঠিত
  • ৪৫০০ এর অধিক সদস্য প্রতিষ্ঠান
  • তৈরি পোশাক শিল্পের প্রতিনিধিত্ব
  • দক্ষ জনশক্তি উন্নয়নে অবদান
  • কারখানার নিরাপত্তা ও শ্রমিকদের অধিকারের ওপর গুরুত্ব