আইনজীবীদের একটি সিন্ডিকেটের কারণে বাংলাদেশে আইনি ব্যয় দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের (আইসিটি) প্রধান প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট মো. তাজুল ইসলাম। ২৩ ডিসেম্বর, রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে সেন্টার ফর গভর্নেন্স স্টাডিজ (সিজিএস) আয়োজিত একটি সংলাপে তিনি বলেন, একজন নিয়মিত আইনজীবীর পারিশ্রমিক ২০ হাজার টাকা হলেও, সিন্ডিকেট আইনজীবীরা জামিন বা অনুকূল ফলাফলের জন্য ৫ থেকে ২৫ লাখ টাকা পর্যন্ত নেন। সাধারণ আইনজীবীদের মামলা সফল হওয়ার সম্ভাবনা কম এবং তারা দুর্নীতির আশ্রয় নিচ্ছেন। বেঞ্চ কর্মকর্তারা জামিন আবেদনের তালিকা দ্রুত করার জন্য ২০ হাজার থেকে এক লাখ টাকা পর্যন্ত ঘুষ নেন বলেও তিনি অভিযোগ করেন। তিনি আরও বলেন, ঘুষের জেরে রায় দেওয়ার ক্ষেত্রে তিন বছর পর্যন্ত বিলম্ব হতে পারে। বিচারকদের রাজনৈতিক নিয়োগ এবং রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে বিচার ব্যবস্থার ব্যবহার দুর্নীতি বৃদ্ধি করছে। এস আলমের বিরুদ্ধে দুর্নীতির তদন্ত বন্ধে সুপ্রিম কোর্টের সিদ্ধান্তের সমালোচনা করে তিনি প্রশ্ন তোলেন সুপ্রিম কোর্টের উদ্দেশ্য নিয়ে। মামলার জট নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে তিনি অ্যানেক্স ভবনের অপর্যাপ্ত স্থানে ফাইলের এলোমেলো সংরক্ষণের কথা উল্লেখ করেন এবং মামলা ব্যবস্থাপনার ডিজিটাইজেশনের আহ্বান জানান। বর্তমান ঝুলে থাকা মামলা নিষ্পত্তি করতে কমপক্ষে ৩০ বছর লাগবে বলে তিনি মন্তব্য করেন। বিচার বিভাগের নিরপেক্ষতা ও কার্যকারিতা নিশ্চিত করার জন্য কাঠামোগত সংস্কারের প্রয়োজনীয়তার উপর তিনি গুরুত্বারোপ করেন।
বিচার বিভাগে দুর্নীতি
মূল তথ্যাবলী:
- আইনজীবীদের সিন্ডিকেটের কারণে আইনি খরচ বৃদ্ধি
- সাধারণ আইনজীবীদের মামলা সফল হওয়ার সম্ভাবনা কম
- বেঞ্চ কর্মকর্তাদের ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ
- বিচারকদের রাজনৈতিক নিয়োগের ফলে দুর্নীতি বৃদ্ধি
- মামলার জট এবং ডিজিটাইজেশনের প্রয়োজনীয়তা
গণমাধ্যমে - বিচার বিভাগে দুর্নীতি
২৩ ডিসেম্বর ২০২৪
বিচার বিভাগে দুর্নীতি ও মামলার জট আইনি ব্যবস্থার কার্যকারিতা কমিয়ে আনছে।