বিকেএমইএ ও বিটিএমএ: বাংলাদেশের তৈরি পোশাক শিল্পের দুই অগ্রণী সংগঠন
বাংলাদেশের তৈরি পোশাক শিল্পের অগ্রযাত্রায় বিকেএমইএ (বাংলাদেশ নিটওয়্যার ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন) এবং বিটিএমএ (বাংলাদেশ টেক্সটাইল মিলস অ্যাসোসিয়েশন) দুটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে। এই দুটি সংগঠন বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানি শিল্পকে প্রতিনিধিত্ব করে এবং শিল্পের উন্নয়ন, শ্রমিকদের অধিকার রক্ষা এবং সরকারের সাথে যোগাযোগের মাধ্যমে বিভিন্ন সমস্যা সমাধানে কাজ করে।
বিকেএমইএ (Bangladesh Knitwear Manufacturers and Exporters Association): ১৯৯৬ সালে প্রতিষ্ঠিত বিকেএমইএ বাংলাদেশের ঢাকায় অবস্থিত একটি জাতীয় বাণিজ্য সংস্থা। এটি দেশের নিটওয়্যার প্রস্তুতকারক এবং রপ্তানিকারকদের প্রতিনিধিত্ব করে। বিকেএমইএর গুরুত্বপূর্ণ কর্মকাণ্ডের মধ্যে রয়েছে শিল্পের জন্য নীতি নির্ধারণে সরকারকে সহায়তা করা, শ্রম পরিবেশ উন্নয়ন, শিশুশ্রম নির্মূলে কাজ করা, এবং বিদেশি ক্রেতাদের সাথে যোগাযোগ স্থাপন করে রপ্তানি বৃদ্ধি করা। সেভ দ্য চিলড্রেনের সাথে সহযোগিতায় শিশুশ্রম দূরীকরণের কর্মসূচী বিকেএমইএর উল্লেখযোগ্য অবদান।
বিটিএমএ (Bangladesh Textile Mills Association): ১৯৮৩ সালে প্রতিষ্ঠিত বিটিএমএ বাংলাদেশের সুতা প্রস্তুতকারক, বস্ত্রকল ও নির্মাতাদের প্রতিনিধিত্বকারী একটি জাতীয় বাণিজ্য সংস্থা। এটি বস্ত্রকল আমদানির জন্য সার্টিফিকেট প্রদান করে এবং বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের সাথে মিলে জাতীয় বস্ত্র প্রকৌশল ও গবেষণা ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠা করেছে। বিটিএমএ বাংলাদেশের পোশাক শিল্পের বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে এবং সরকারের সাথে মিলে শিল্পের উন্নয়নের জন্য কাজ করে।
বিকেএমইএ ও বিটিএমএর সম্মিলিত কর্মকাণ্ড: উল্লেখ্য, বিকেএমইএ এবং বিটিএমএ প্রায়শই বিজিএমইএ (বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতি)-র সাথে মিলে বিভিন্ন বিষয়ে যৌথ সংবাদ সম্মেলন এবং বৈঠক আয়োজন করে। যেমন, ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট সম্পর্কে তাদের যৌথ প্রতিক্রিয়া প্রকাশিত হয়েছে যেখানে তারা রপ্তানিমুখী শিল্পের জন্য কর হ্রাস, মূলধনী যন্ত্রপাতি আমদানিতে শুল্ক মওকুফ এবং অন্যান্য বিষয়ে দাবি জানিয়েছে।
আমরা আশা করি, এই তথ্য আপনার জন্য উপকারী হবে। ভবিষ্যতে আরও বিস্তারিত তথ্য উপলব্ধ হলে আমরা এই লেখাটি আপডেট করবো।