বিকাশ: বাংলাদেশের ডিজিটাল অর্থনীতির অগ্রদূত
বিকাশ, বাংলাদেশের অন্যতম শীর্ষস্থানীয় মোবাইল ফোনভিত্তিক আর্থিক সেবা (MFS) প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান। ২০১১ সালে ব্র্যাক ব্যাংক লিমিটেড এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক মানি ইন মোশন এলএলসির যৌথ উদ্যোগে প্রতিষ্ঠিত বিকাশ দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে বিশেষ অবদান রেখেছে। ব্যাংক হিসাববিহীন জনগোষ্ঠীর কাছে আর্থিক সেবা পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্য নিয়ে যাত্রা শুরু করে বিকাশ। *২৪৭# USSD কোড এবং বিকাশ অ্যাপের মাধ্যমে গ্রাহকরা নগদ লেনদেন, টাকা পাঠানো, বিল পরিশোধ, মোবাইল রিচার্জ সহ নানাবিধ আর্থিক সেবা গ্রহণ করতে পারে।
বিকাশের উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি:
- **২০১১:** ব্র্যাক ব্যাংক লিমিটেড ও মানি ইন মোশন এলএলসির যৌথ উদ্যোগে প্রতিষ্ঠা।
- **২০১৩:** ইন্টারন্যাশনাল ফিনান্স কর্পোরেশন (IFC), বিশ্বব্যাংক গ্রুপের সদস্য, বিকাশে বিনিয়োগ করে।
- **২০১৪:** বিল ও মেলিন্ডা গেটস ফাউন্ডেশন বিকাশে বিনিয়োগ করে।
- **২০১৮:** চীনের আলিপে বিকাশে বিনিয়োগ করে।
- **২০২১:** জাপানের সফটব্যাংক বিকাশে বিনিয়োগ করে।
বিকাশের সাফল্যের গল্প:
বিকাশ দেশের অর্থনীতিতে বিরাট ভূমিকা পালন করছে। ৭ কোটিরও বেশি যাচাইকৃত অ্যাকাউন্ট এবং ৩,৩০,০০০ এর বেশি এজেন্টের মাধ্যমে বিকাশ গ্রাম থেকে শহর, সর্বত্র সেবা প্রদান করে। এটি দ্রুত, নিরাপদ এবং সুবিধাজনক আর্থিক লেনদেনের সুযোগ তৈরি করেছে। বিকাশের অ্যাপ ব্যবহারকারীরা ইংরেজি ও বাংলা উভয় ভাষাতেই সেবা পেতে পারে। QR কোড ব্যবহারের মাধ্যমে লেনদেন আরও সহজ করেছে বিকাশ।
বিকাশের অবদান:
বিকাশ শুধুমাত্র আর্থিক লেনদেনের মাধ্যম নয়, এটি বাংলাদেশের আর্থিক অন্তর্ভুক্তির একটা গুরুত্বপূর্ণ অংশ। এটি দূরবর্তী এলাকার মানুষকে আর্থিকভাবে যুক্ত করেছে এবং তাদের জীবনে ইতিবাচক পরিবর্তন এনেছে। বিকাশের বিভিন্ন সামাজিক দায়িত্বের কাজও উল্লেখযোগ্য।
পুরস্কার ও স্বীকৃতি:
বিকাশ বিভিন্ন সময় বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান থেকে পুরস্কার ও স্বীকৃতি প্রাপ্ত হয়েছে। ফরচুন ম্যাগাজিন, এশিয়ামানি পত্রিকা এবং বাংলাদেশ ব্র্যান্ড ফোরাম সহ অন্যান্য প্রতিষ্ঠান বিকাশের অবদানকে স্বীকৃতি দিয়েছে।
উপসংহার:
বিকাশ বাংলাদেশের ডিজিটাল অর্থনীতির একটি মাইলফলক। এটি শুধুমাত্র একটি মোবাইল ফোনভিত্তিক আর্থিক সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান নয়, এটি বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ ও জনগণের জীবনে পরিবর্তন আনার একটি মহান উদ্যোগ।