বাস: জনগণের যাতায়াতের অপরিহার্য মাধ্যম
বাস, অম্নিবাস থেকে সংক্ষিপ্ত, একটি জনপ্রিয় যানবাহন যা একসাথে অসংখ্য যাত্রী পরিবহনের জন্য ডিজাইন করা হয়। ৩০০-এর বেশি যাত্রী ধারণক্ষমতা সম্পন্ন বাসও বিদ্যমান। একক-ডেক রিজিড বাস সবচেয়ে সাধারণ, তবে দ্বি-স্তরীয় (ডাবল-ডেকার) ও সংযুক্ত (আর্টিকুলেটেড) বাস বৃহৎ লোড পরিবহনের জন্য ব্যবহৃত হয়। ছোট আকারের মিনিবাস ও মাইক্রোবাস সীমিত যাত্রী পরিবহনের কাজে ব্যবহৃত হয়। দীর্ঘ পথের যাত্রার জন্য কোচ ব্যবহার করা হয়। নগর পরিবহন, আন্তঃনগর যাত্রা, স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থী পরিবহন, পর্যটন ইত্যাদি নানা উদ্দেশ্যে বাস ব্যবহৃত হয়।
বাসের ইতিহাস:
ঘোড়া টানা বাসের প্রচলন শুরু হয় ১৮২০ সালে। এরপর ক্রমান্বয়ে বাষ্পচালিত (স্টিম) বাস (১৮৩০), বৈদ্যুতিক ট্রলিবাস (১৮৮২), এবং অভ্যন্তরীণ দহন ইঞ্জিন চালিত বাস (১৮৯৫) ব্যবহারের প্রচলন ঘটে। আধুনিক যুগে হাইব্রিড বৈদ্যুতিক বাস, জ্বালানি কোষ (Fuel-Cell) চালিত বাস, সম্পূর্ণ বৈদ্যুতিক বাস এবং সংকুচিত প্রাকৃতিক গ্যাস বা বায়োডিজেল চালিত বাস জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। ২০১০ সালের পর থেকে বিশ্বব্যাপী বাস উৎপাদন ব্যাপকভাবে বেড়েছে।
বাস শব্দের উৎপত্তি:
'বাস' শব্দটি ল্যাটিন শব্দ 'Omnibus' ('সকলের জন্য') থেকে এসেছে। ১৮২৩ সালে ফ্রান্সের ন্যান্টেসের স্ট্যানিস্লাস বড্রি নামে এক ব্যক্তি প্রথম ঘোড়াচালিত গণপরিবহন ব্যবস্থা চালু করেন। তার সেবাটি 'Omnibus' নামে পরিচিত হয় এবং পরবর্তীতে এই নামটিই বাসের প্রতিশব্দ হিসেবে ব্যবহার করা হয়। লন্ডনে ১৮২৯ সালে এ ধরণের পরিষেবা চালু হয়।
বাস এবং পরিবেশ:
ডিজেলচালিত বাস বায়ু দূষণের একটি উল্লেখযোগ্য উৎস। এর নিষ্কাশনে ক্ষতিকারক কণা ও গ্যাস থাকে যা মানব স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। তাই পরিবেশবান্ধব বিকল্প যেমন বৈদ্যুতিক বাস ব্যবহার করা প্রয়োজন।