বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি): একটি বিস্তারিত আলোচনা
বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) বাংলাদেশের টেলিযোগাযোগ খাতের নিয়ন্ত্রক সংস্থা। এটি দেশের টেলিযোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন, নিয়ন্ত্রণ এবং টেলিযোগাযোগ সেবা প্রদানের মান নিশ্চিত করার জন্য কাজ করে। ৩১ জানুয়ারী ২০০২ সালে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ আইন, ২০০১ অনুযায়ী বিটিআরসি প্রতিষ্ঠিত হয়। এর আগে, ১৯৭৯ সালে বাংলাদেশ টেলিগ্রাফ ও টেলিফোন বোর্ড অধ্যাদেশের মাধ্যমে বাংলাদেশ টেলিগ্রাফ ও টেলিফোন বোর্ড গঠিত হয়েছিল, যা পরবর্তীতে সংশোধিত হয়।
বিটিআরসির লক্ষ্য হলো সাশ্রয়ী মূল্যে টেলিযোগাযোগ সুবিধা নিশ্চিত করা এবং জনগোষ্ঠীর মধ্যে টেলিযোগাযোগের ব্যবহার বৃদ্ধি করা। ২০০২ সালে এর প্রতিষ্ঠার পর থেকে, বিটিআরসি দেশের মোবাইল, ইন্টারনেট এবং অন্যান্য টেলিযোগাযোগ সেবা প্রদানকারীদের নিয়ন্ত্রণ, লাইসেন্স প্রদান এবং নিয়ম-নীতি প্রণয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে। বর্তমানে মেজর জেনারেল (অব.) এমদাদ উল বারী বিটিআরসির চেয়ারম্যান (১১ সেপ্টেম্বর ২০২৪ থেকে)।
বিটিআরসি টেলিযোগাযোগ সংক্রান্ত নানা বিষয়ে কাজ করে থাকে, যেমন- মোবাইল নেটওয়ার্ক, PSTN, উপগ্রহ সংযোগ, এবং ক্যাবল নেটওয়ার্ক। গ্রাহকরা তাদের অভিযোগ জানানোর জন্য দিনরাত ২৪ ঘণ্টা ১০০ নম্বরে কল করতে পারেন।
বিটিআরসি 'বঙ্গবন্ধু-১' উপগ্রহ প্রকল্পের বাস্তবায়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। এই প্রকল্পটি ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের অধীনে বাস্তবায়িত হয়। এই প্রকল্পের ব্যয় ছিল ৩২৪৩ কোটি টাকা।
বিটিআরসির হিসাব অনুযায়ী, ২০২৩ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত বাংলাদেশে মোবাইল ফোনের গ্রাহক সংখ্যা ছিল ১৯ কোটি ৮১ লাখ এবং ইন্টারনেট গ্রাহক সংখ্যা ১৩ কোটি ১৩ লাখ ৭০ হাজার।
বিটিআরসি বাংলাদেশের টেলিযোগাযোগ খাতের উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে এবং ভবিষ্যতেও এই ভূমিকা আরও বেশি গুরুত্বপূর্ণ হবে।