বনভূমি দখল

আপডেট: ৫ জানুয়ারী ২০২৫, ৯:২৮ এএম

বাংলাদেশে বনভূমি দখলের ঘটনা নিত্যদিনেরই ব্যাপার হয়ে উঠেছে। প্রভাবশালী ব্যক্তি, গোষ্ঠী এবং সংগঠনসমূহের দ্বারা বনভূমি দখলের এই অপরাধ ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে। সম্প্রতি গাজীপুরে ৯০ একর বনভূমি অবৈধভাবে দখলের ঘটনায় পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় এবং পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার কথা জানিয়েছেন। তিনি জানিয়েছেন, ৫ আগস্টের পর গাজীপুরে অবৈধভাবে দখল হওয়া ৯০ একর বনভূমির মধ্যে ১৬ একর ইতোমধ্যে উদ্ধার করা হয়েছে এবং বাকি জমি উদ্ধারের জন্য পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। তিনি জেলা প্রশাসকদের বনের সীমানা দ্রুত নির্ধারণ করার নির্দেশ দিয়েছেন। এছাড়াও, বৃক্ষনিধন এবং শিল্পকারখানার দূষণ বন্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার কথাও তিনি জানিয়েছেন। প্রতিবেদন অনুযায়ী, গাজীপুরে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর স্থানীয় প্রভাবশালী ব্যক্তিরা বনভূমি দখল ও বাণিজ্য শুরু করে। দুই মাসের মধ্যে ৭ হাজার ৫০০ একর বনভূমি দখল হয়েছে, এরমধ্যে ৩ হাজার ৫০০ একর বন উজাড় করে অবৈধ স্থাপনা গড়ে তোলা হয়েছে। ২০০০ সালে গাজীপুরে বনভূমির পরিমাণ ছিল ৩৯,৯৪৩ হেক্টর, যা ২০২৩ সালে নেমে এসেছে ১৬,১৭৪ হেক্টর। অবৈধ দখলের বিরুদ্ধে ৪১টি মামলা হলেও পুলিশের তৎপরতা অপ্রতুল বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে। এই ঘটনায় জড়িত রাজনৈতিক প্রভাবশালী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধেও প্রশ্ন উঠেছে। সামগ্রিকভাবে, বাংলাদেশের বনভূমি সংরক্ষণে আইন প্রয়োগকারী সংস্থা এবং সরকারের সক্রিয় ভূমিকা অত্যন্ত জরুরী। আমরা আপনাকে বিস্তারিত তথ্য আপডেট করে জানাবো যখনই নতুন তথ্য পাওয়া যাবে।

মূল তথ্যাবলী:

  • গাজীপুরে ৯০ একর বনভূমি অবৈধ দখল
  • ১৬ একর বনভূমি উদ্ধার
  • বনভূমি দখলকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার ঘোষণা
  • বনের সীমানা নির্ধারণের নির্দেশ
  • বৃক্ষনিধন ও শিল্প দূষণ বন্ধের উদ্যোগ
  • দুই মাসে ৭৫০০ একর বনভূমি দখলের অভিযোগ

একই নামে একাধিক ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান ও স্থান থাকতে পারে। সুনির্দিষ্টভাবে জানতে সংবাদ লিংকে প্রবেশ করুন।

গণমাধ্যমে - বনভূমি দখল