ফ্লোরিডা: মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সূর্যালোকের রাজ্য
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ-পূর্বে অবস্থিত ফ্লোরিডা রাজ্যটি তার সুন্দর সৈকত, উষ্ণ আবহাওয়া, এবং বিনোদনমূলক স্থানগুলির জন্য বিখ্যাত। প্রায় ২২ মিলিয়ন জনসংখ্যার সাথে, এটি তৃতীয় জনবহুল এবং আয়তনে ২২তম বৃহৎ রাজ্য। ১৫১৩ সালে স্প্যানিশ অনুসন্ধানকারী জুয়ান পোনস দে লিয়ন প্রথম ফ্লোরিডায় পৌঁছান এবং এটিকে 'লা ফ্লোরিডা' নামকরণ করেন। ইউরোপীয় উপনিবেশিকরণের পর ফ্লোরিডা স্পেন এবং ব্রিটেনের অধীনে ছিল। ১৮৪৫ সালের ৩ মার্চ, এটি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ২৭তম রাজ্য হিসাবে যোগদান করে।
ঐতিহাসিক ঘটনা:
- সেমিনোল যুদ্ধ (১৮১৬-১৮৫৮): ফ্লোরিডায় অনুষ্ঠিত দীর্ঘতম এবং সবচেয়ে বিস্তৃত ভারতীয় যুদ্ধ।
- ১৮৬১ সালে ইউনিয়ন থেকে বিচ্ছিন্নতা: ফ্লোরিডা আমেরিকান গৃহযুদ্ধের সময় কনফেডারেশনের সাথে যোগ দেয়।
ভৌগোলিক অবস্থান ও আবহাওয়া:
ফ্লোরিডা মেক্সিকো উপসাগর, আটলান্টিক মহাসাগর এবং ফ্লোরিডা প্রণালীর মধ্যে অবস্থিত। উত্তরে জর্জিয়া ও অ্যালাবামা এবং পশ্চিমে অ্যালাবামার সাথে এর সীমানা রয়েছে। রাজ্যটি সমতল এবং মিঠা পানির হ্রদ, নদী ও বনভোজনস্থল সমৃদ্ধ। আবহাওয়া উত্তরের উপক্রান্তীয় থেকে দক্ষিণে ক্রান্তীয় পর্যন্ত বিস্তৃত।
অর্থনীতি:
ফ্লোরিডার অর্থনীতি পর্যটন, কৃষি, এবং পরিবহণের উপর নির্ভরশীল। এটি বিনোদন উদ্যান, কমলা চাষ, শীতের শাকসবজি, কেনেডি স্পেস সেন্টার এবং অবসরপ্রাপ্তদের জন্য জনপ্রিয় গন্তব্য। এই রাজ্যের অর্থনীতি বিশ্বের ১৬তম বৃহৎ অর্থনীতির সমতুল্য।
উল্লেখযোগ্য স্থান:
- মায়ামি: সর্বাধিক জনবহুল শহর।
- অরল্যান্ডো: বিখ্যাত ডিজনি ওয়ার্ল্ড ও ইউনিভার্সাল স্টুডিওর অবস্থান।
- টালাহাসি: রাজ্যের রাজধানী।
- কেনেডি স্পেস সেন্টার: মহাকাশ অনুসন্ধান কেন্দ্র।
- এভারগ্লেডস জাতীয় উদ্যান: সুন্দর জলাভূমি।
সংস্কৃতি:
ফ্লোরিডার সংস্কৃতি বহুজাতিক। এখানে আফ্রিকান, ইউরোপীয়, আদিবাসী, লাতিনো ও এশীয় ঐতিহ্য মিশে আছে। ফ্লোরিডা মার্জারি কিন্নান রাওলিংস, আর্নেস্ট হেমিংওয়ে এবং টেনেসি উইলিয়ামস-এর মতো বিখ্যাত লেখকদের আকর্ষণ করেছে।
ফ্লোরিডা তার সুন্দর সৈকত, উষ্ণ আবহাওয়া, বিনোদনমূলক স্থান, এবং সমৃদ্ধ সংস্কৃতির জন্য একটি আকর্ষণীয় গন্তব্য।