বগুড়ার শাজাহানপুরে যুবদল নেতা ফোরকান আলী হত্যা মামলায় নতুন করে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে। ২০২৩ সালের ৩ ডিসেম্বর শাজাহানপুরের সাজাপুর এলাকায় ঢাকা-রংপুর মহাসড়কে বিএনপির অবরোধের সমর্থনে মিছিল করার সময় ফোরকান আলী মারা যান। তার পরিবারের দাবি, তিনি হৃদরোগে মারা গেছেন, কিন্তু একই ইউনিয়নের যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক ইউনুস আলী বাদী হয়ে গত ৩০ অক্টোবর বগুড়ার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে শেখ হাসিনাসহ ১৬০ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতনামা ৪০০-৫০০ জনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলায় ফোরকানের মৃত্যুর জন্য শেখ হাসিনা, সজীব ওয়াজেদ জয়, শেখ রেহানা, ওবায়দুল কাদের, আসাদুজ্জামান খান কামাল প্রমুখ নেতাদের দায়ী করা হয়েছে।
ফোরকানের বাবা আবদুল কুদ্দুস অভিযোগ করেছেন, এই মামলাটি মিথ্যা এবং চাঁদাবাজির উদ্দেশ্যে করা হয়েছে। তিনি পুলিশ সুপারের কাছে মামলার তদন্ত স্থগিতের আবেদন করেছেন এবং আদালতে মামলা প্রত্যাহারের জন্য আবেদন করবেন বলে জানিয়েছেন। তদন্ত কার্যক্রমের অংশ হিসাবে ফোরকানের লাশ কবর থেকে উত্তোলন করার চেষ্টা করা হয়েছিল, কিন্তু পরিবারের আপত্তির কারণে তা সম্ভব হয়নি। এই ঘটনার পর পুলিশ ও আদালতের বিভিন্ন কর্মকর্তা বিষয়টি নিয়ে মতামত দিয়েছেন, তবে এখনো বিষয়টি নিয়ে সংশয় রয়ে গেছে। মামলার বাদী ইউনুস আলী হলুদ দাবি করেছেন, তিনি দলীয় সিদ্ধান্তে এই মামলা করেছেন। এই মামলায় বিভিন্ন সংগঠন এবং ব্যক্তির ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।