প্রীতি প্যাটেল: একজন বিতর্কিত ব্রিটিশ রাজনীতিকের জীবনী
প্রীতি সুশিল প্যাটেল একজন ব্রিটিশ রাজনীতিক যিনি ২০১৯ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত ব্রিটেনের স্বরাষ্ট্র সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি ২০২৪ সালের নভেম্বর থেকে ছায়া পররাষ্ট্র সচিবের দায়িত্বে রয়েছেন। কনজারভেটিভ পার্টির সদস্য হিসেবে তিনি ২০১০ সাল থেকে উইথাম আসনের সংসদ সদস্য (এমপি)। তার রাজনৈতিক দর্শন ডানপন্থী এবং তিনি নিজেকে থ্যাচারবাদী হিসেবে পরিচয় দেন।
১৯৭২ সালের ২৯শে মার্চ লন্ডনে জন্মগ্রহণকারী প্রীতির পিতামহ-পিতামহী গুজরাট থেকে উগান্ডায় বসবাস করতেন। পরবর্তীতে তাঁর পরিবার যুক্তরাজ্যে চলে আসে। কীল বিশ্ববিদ্যালয় এবং এসেক্স বিশ্ববিদ্যালয় থেকে শিক্ষা লাভ করে প্রীতি রাজনীতিতে জড়িত হন। মার্গারেট থ্যাচার তার রাজনৈতিক আদর্শের অনুপ্রেরণা ছিলেন।
রাজনৈতিক কর্মজীবনের পূর্বে তিনি ওয়েবার শ্যান্ডউইক নামে একটি জনসংযোগ সংস্থায় কর্মরত ছিলেন। ২০০৫ সালে তিনি নটিংহাম উত্তর আসনে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে পরাজিত হন। তবে এরপর তিনি কনজারভেটিভ পার্টির 'এ-লিস্ট'-এ স্থান পান এবং ২০১০ সালের সাধারণ নির্বাচনে উইথাম আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।
সংসদ সদস্য হিসেবে তিনি বেশ কিছু গবেষণা প্রবন্ধ ও বই লিখেছেন, এর মধ্যে 'আফটার দ্য কোয়ালিশন' (২০১১) এবং 'ব্রিটানিয়া আনচেইন্ড' (২০১২) উল্লেখযোগ্য। তিনি ট্রেজারির এক্সচেকার সচিব এবং কর্মসংস্থান বিষয়ক রাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন। ২০১৬ সালে তিনি আন্তর্জাতিক উন্নয়ন বিষয়ক সচিব হন, কিন্তু ২০০৭ সালে ইসরায়েলের কর্মকর্তাদের সাথে অননুমোদিত বৈঠকের কারণে তাকে পদত্যাগ করতে হয়।
২০১৯ সালে বরিস জনসনের নেতৃত্বাধীন সরকারে তিনি স্বরাষ্ট্র সচিব হন। এই সময়ে তিনি পয়েন্টস-ভিত্তিক ইমিগ্রেশন সিস্টেম চালু করেন, রোয়ান্ডার সাথে আশ্রয় প্রদানের চুক্তি করেন এবং জুলিয়ান অ্যাসান্জের মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে প্রত্যর্পণ অনুমোদন করেন। এছাড়াও, তিনি ‘বুলিং’ সংক্রান্ত অভিযোগে মন্ত্রিসভার আচরণবিধি লঙ্ঘন করেছেন।
২০২২ সালে স্বরাষ্ট্র সচিব পদ থেকে পদত্যাগ করার পর ২০২৪ সালের সাধারণ নির্বাচনের পর কনজারভেটিভ পার্টির নেতৃত্ব প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করেন কিন্তু প্রথম বারেই বিদায় নেন। পরে কেমি বাদেনোচের নেতৃত্বে তিনি ছায়া পররাষ্ট্র সচিব নিযুক্ত হন।
প্রীতি প্যাটেলের জীবনীতে বেশ কিছু বিতর্ক ও সমালোচনার ঘটনা রয়েছে যা তার রাজনৈতিক কর্মজীবনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। তার রাজনৈতিক দর্শন, নীতি, এবং কর্মকাণ্ড নিয়ে জনমত বিভক্ত।
আশা করি এই তথ্য আপনার জন্য যথেষ্ট।