ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) পোশাক আমদানি নিয়ে সম্প্রতি প্রকাশিত ইউরোস্ট্যাটের তথ্য অনুসারে, ২০২৪ সালের প্রথম দশ মাসে (জানুয়ারী-অক্টোবর) বাংলাদেশ থেকে ইইউতে পোশাক রপ্তানিতে উল্লেখযোগ্য পুনরুদ্ধারের ইঙ্গিত পাওয়া গেছে। যদিও পণ্যের দামের উপর চাপ ছিল, আমদানির পরিমাণ ৬.৬৮% বেড়েছে। তবে দাম ৪.৯২% কমার কারণে মোট মূল্যবৃদ্ধি মাত্র ০.৮% হয়েছে। এই সময়কালে বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানির মূল্য ছিল ১৬৫২ কোটি মার্কিন ডলার, যা গত বছরের একই সময়ের তুলনায় কিছুটা বেশি। উল্লেখযোগ্যভাবে, ২০২৪ সালের অক্টোবরে রপ্তানি আগের বছরের তুলনায় ৩৩.৭৮% বেড়েছে, যা গত ১০ মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ। অক্টোবরে ইইউ ১৮২ কোটি ডলারের পোশাক আমদানি করেছে বাংলাদেশ থেকে, যেখানে ২০২৩ সালের অক্টোবরে ছিল ১৩৬ কোটি ডলার। তবে, ইইউ'র মোট পোশাক আমদানি (বিভিন্ন দেশ থেকে) ০.৫৮% বেড়ে ৭৭৭৮ কোটি ডলারে পৌঁছেছে। জানুয়ারী থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত আমদানি ২.০২% কমেছিল, কিন্তু অক্টোবর মাসের উল্লেখযোগ্য বৃদ্ধি ইতিবাচক ধারায় ফিরে আসার ইঙ্গিত দিচ্ছে। চীন, ভিয়েতনাম এবং কম্বোডিয়া সহ অন্যান্য প্রধান পোশাক রপ্তানিকারক দেশের রপ্তানিও বেড়েছে। বিজিএমইএ'র সাবেক পরিচালক মহিউদ্দিন রুবেল বলেছেন, ২০২৪ সালে অনেক সাপ্লায়ারের ইউনিট প্রাইস কমেছে, প্রতিযোগিতার চাপের কারণে। তিনি মনে করেন, ইইউ'তে পোশাকের চাহিদা শক্তিশালী, কিন্তু প্রতিযোগিতা বেড়েছে।
পোশাক আমদানি
মূল তথ্যাবলী:
- ২০২৪ সালের প্রথম ১০ মাসে ইইউতে বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানি বেড়েছে।
- অক্টোবর মাসে রপ্তানি ৩৩.৭৮% বৃদ্ধি পেয়েছে।
- পণ্যের দাম কমার কারণে মোট মূল্যবৃদ্ধি কম ছিল।
- ইইউ'র মোট পোশাক আমদানিও কিছুটা বেড়েছে।
- প্রতিযোগিতার চাপের কারণে কিছু রপ্তানিকারকের চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হতে হচ্ছে।
গণমাধ্যমে - পোশাক আমদানি
১ জানুয়ারী ২০২৪, ৬:০০ এএম
যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশ থেকে পোশাক আমদানির পরিমাণ কমেছে।