পীরজাদা শহীদুল হারুন: একজন বহুমুখী প্রতিভার অধিকারী ব্যক্তিত্ব যিনি একাধারে অভিনেতা, কবি, গীতিকার, উপন্যাসিক, উপস্থাপক, আলোচক, লেখক, চিত্রশিল্পী, যাদুশিল্পী এবং প্রশাসনিক কর্মকর্তা হিসেবে দীর্ঘ সময় ধরে কাজ করেছেন। তিনি ৯০ এর দশকে বিটিভি ও বেতারের তালিকাভুক্ত গীতিকার ছিলেন এবং বেতার, টিভি, সিডি-ভিসিডি ও চলচ্চিত্রে তার শতাধিক গান প্রচারিত হয়েছে। তার বেশ কয়েকটি কাব্যগ্রন্থ ও উপন্যাসও রয়েছে। প্রশাসনিক ক্যাডারে কর্মজীবন শুরু করে তিনি ম্যাজিস্ট্রেট, টিএনও, ইউএনও, সিনিয়র সহকারী সচিব, উপ-সচিব, যুগ্ম সচিব এবং অর্থ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিবের দায়িত্ব পালন করেছেন। চাকরির মেয়াদ শেষ হওয়ার পরও তাকে দুই বছরের চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল। তিনি প্রায় ১২০০ নাটক এবং ৩০০ টিরও বেশি সিনেমায় অভিনয় করেছেন এবং ৩০ টিরও বেশি বিজ্ঞাপন চিত্রে কাজ করেছেন।
২০২২-২৩ মেয়াদে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচনে তিনি প্রধান নির্বাচন কমিশনার ছিলেন। এই নির্বাচন নিয়ে ব্যাপক তর্ক-বিতর্ক, মামলা এবং আদালতে দৌড়ঝাঁপের ঘটনা ঘটেছিল। সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী নিপুণ আক্তার তাঁর বিরুদ্ধে যৌন হয়রানিসহ ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ তুলেছিলেন। নিপুণ আক্তারের অভিযোগ ছিল, নির্বাচনের দিন পীরজাদা শহীদুল হারুন তাকে চুমু খেতে চেয়েছিলেন।
উল্লেখযোগ্যভাবে, ২০২৪-২৫ মেয়াদে শিল্পী সমিতির নির্বাচনে নিপুণ আক্তার নিজের প্যানেলে পীরজাদা শহীদুল হারুনকে নিয়েছেন। এই ঘটনায় অনেকেই বিস্মিত হয়েছেন। পীরজাদা শহীদুল হারুনের বক্তব্য, দুই বছর আগে তিনি নির্বাচনের আম্পায়ার ছিলেন, এবার তিনি খেলোয়াড় হিসেবে অংশ নিচ্ছেন। তিনি শিল্পীদের ঐক্যের কথা বলেছেন এবং নিপুণের অভিযোগকে তৃতীয় পক্ষের প্রভাব বলে উল্লেখ করেছেন। নিপুণ আক্তারের বক্তব্য, তাদের প্যানেলে চমক হিসাবে পীরজাদা শহীদুল হারুনকে নেওয়া হয়েছে এবং তৃতীয় পক্ষের ঝামেলা এখন আর নেই।