নেসলে: বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ খাদ্য ও পানীয় কোম্পানি
নেসলে এস.এ. (Nestlé S.A.) হলো একটি সুইজারল্যান্ড-ভিত্তিক বহুজাতিক খাদ্য ও পানীয় কোম্পানি। বিশ্বের সবচেয়ে বড় পাবলিক খাদ্য কোম্পানি হিসেবে এর খ্যাতি আছে। ১৮৬৬ সালে ‘অ্যাংলো-সুইস মিল্ক কোম্পানি’ এবং ১৮৬৭ সালে ‘ফারিন ল্যাক্টি হেনরি নেসলে’ কোম্পানির মিলন থেকে ১৯০৫ সালে নেসলে কোম্পানিটির আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হয়। তারপর থেকে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে শাখা প্রতিষ্ঠা করে, নানা পণ্য উৎপাদন করে এটি আজকের এই অবস্থানে পৌঁছেছে।
নেসলের পণ্যের মধ্যে রয়েছে শিশু খাদ্য (নেসলে সেরেলাক, ল্যাক্টোজেন), স্বাস্থ্যকর খাদ্য, বোতলজাত পানীয় (নেসলে পিওর লাইফ), নাস্তা সামগ্রী, কফি (নেসক্যাফে), চা, মিষ্টান্ন (কিটক্যাট, স্মার্টীস), দুগ্ধজাত পণ্য, আইসক্রিম, হিমায়িত খাদ্য, গৃহপালিত প্রাণীর খাদ্য এবং অন্যান্য নাস্তা। নেসলের ২৯টি ব্র্যান্ডের পণ্যের বার্ষিক বিক্রয় ১ বিলিয়ন CHF (প্রায় মার্কিন ১.১ বিলিয়ন ডলার) এর বেশি। কোম্পানির ৪৪৭টি কারখানা, ১৮৯টি দেশে পণ্য সরবরাহ এবং ৩৩৯,০০০ জন কর্মী রয়েছে।
প্রথম ও দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় কোম্পানির বিক্রয় ব্যাপক হারে বেড়েছিল। কোম্পানিটি অনেকগুলো সংস্থাকে অধিগ্রহণ করেছে, যেমন ক্রসি অ্যান্ড ব্লাকওয়েল (১৯৬০), ফিনডাস (১৯৬৩), লিবি'স (১৯৭১), রাউনট্রি ম্যাকিন্টোশ (১৯৮৮), গার্বার (২০০৭) ইত্যাদি। এছাড়াও, বিভিন্ন বিতর্কের মধ্যেও দাঁড়িয়ে আছে নেসলে, শিশু খাদ্যের বাজারজাতকরণ, শিশুশ্রম এবং বোতলজাত পানির উৎপাদন নিয়ে বিতর্ক রয়েছে।
নেসলে সুইস শেয়ারবাজারের এক গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান এবং বিশ্বের সবচেয়ে বড় খাদ্য উৎপাদনকারী। ২০১৪ সালে এর বিক্রয়ের পরিমাণ ছিল ৯১.৬১ বিলিয়ন সুইস ফ্রা এবং মুনাফা ছিল ১৪.৪৬ বিলিয়ন সুইস ফ্রা। ২০১৫ সালে ‘রেপুটেশন ইন্সটিটিউট’ এর জরিপে ১০০ এর মধ্যে ৭৪.৫ স্কোর পেয়েছে নেসলে।
নেসলে ৮,০০০ টিরও বেশি ব্র্যান্ড নিয়ে বিশ্বব্যাপী কার্যক্রম পরিচালনা করে। এর উল্লেখযোগ্য ব্র্যান্ডগুলোর মধ্যে আছে নেসপ্রেসো, নেসক্যাফে, কিট ক্যাট, স্মার্টীস, নেসকুইক, স্টোফার্স, ভাইটেল এবং ম্যাগী।
নেসলে বাংলাদেশেও উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করে। এখানে তাদের বিভিন্ন পণ্য উৎপাদিত হয় এবং বাজারজাত করা হয়।