নীলাচল: বান্দরবানের মেঘের রাজ্য
বাংলাদেশের বান্দরবান জেলার একটি অসাধারণ পর্যটন কেন্দ্র হল নীলাচল। বান্দরবান শহর থেকে মাত্র ৫ কিলোমিটার দূরে, সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে প্রায় ১৬০০ ফুট উঁচু টাইগারপাড়ার পাহাড়ের চূড়ায় অবস্থিত এই স্থানটি প্রকৃতির অপূর্ব সৌন্দর্য্যের সমাহার। ২০০৬ সালের ১লা জানুয়ারী বান্দরবান জেলা প্রশাসনের তত্ত্বাবধানে নীলাচল পর্যটন কমপ্লেক্স উদ্বোধন করা হয়।
নীলাচলের আকর্ষণ:
নীলাচলের সৌন্দর্য্য এতটাই অপরিসীম যে, একে ‘বাংলার দার্জিলিং’ বলা হয়ে থাকে। এই পর্যটন কেন্দ্রে রয়েছে ‘শুভ্রনীলা’, ‘ঝুলন্ত নীলা’, ‘নীহারিকা’, এবং ‘ভ্যালেন্টাইন পয়েন্ট’ নামে কয়েকটি আকর্ষণীয় বিশ্রামাগার। পাহাড়ের ঢালে ঢালে সাজানো এই বিশ্রামাগারগুলি থেকে পাহাড়ের বিভিন্ন দিকের দৃশ্য ভিন্ন ভিন্ন এবং অতুলনীয়। এখানে বাচ্চাদের খেলাধুলার জন্যও সুন্দর ব্যবস্থা রয়েছে। বর্ষা, শরৎ ও হেমন্ত ঋতুতে মেঘের স্পর্শ উপভোগ করার জন্য নীলাচল একটি আদর্শ স্থান। সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে প্রায় ১৬০০ ফুট উঁচুতে অবস্থানের কারণে, মেঘের খেলা উপভোগের এক অনন্য অভিজ্ঞতা দান করে এই স্থানটি।
নীলাচল থেকে সমগ্র বান্দরবান শহর এবং আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে কক্সবাজারের সমুদ্র সৈকতের অপূর্ব দৃশ্য উপভোগ করা যায়। এখানকার ‘নীলাচল স্কেপ রিসোর্ট’, নীল রঙের একটি আকর্ষণীয় রিসোর্ট, পর্যটকদের জন্য আরও আকর্ষণ যোগ করে। সাধারণ পর্যটকদের জন্য সূর্যাস্ত পর্যন্ত এখানে থাকার অনুমতি রয়েছে।
যোগাযোগ ও থাকার ব্যবস্থা:
ঢাকা থেকে বান্দরবানের জন্য বিভিন্ন বাস পরিষেবা উপলব্ধ। বান্দরবান শহর থেকে নীলাচলে যাওয়ার জন্য সিএনজি, চাঁদের গাড়ি এবং জীপ পাওয়া যায়। নীলাচল স্কেপ রিসোর্টে থাকার ব্যবস্থা রয়েছে। আগে থেকে বুকিং করা উত্তম। বান্দরবান শহরেও অসংখ্য হোটেল ও রিসোর্ট রয়েছে।
আরও তথ্য:
নীলাচল সম্পর্কে আরও বিস্তারিত তথ্য পাওয়া গেলে আমরা এই লেখাটি আপডেট করব।